Coochbehar: পর পর দু'বার দিনহাটায় বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর, হামলার অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
House Of BJP Leader Vandalized: দিনহাটায় বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর। গত কালের পর ফের আজ বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে হামলার অভিযোগ। আঙুল উঠল তৃণমূলের দিকে।

শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: দিনহাটায় (dinhata) বিজেপি (BJP) নেতার (leader) বাড়িতে (house) ভাঙচুর (vandalize)। গত কালের পর ফের আজ বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে হামলার (attack) অভিযোগ। আঙুল উঠল তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ অস্বীকার শাসক (TMC) শিবিরের। বিজেপিই এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
কী ঘটেছে?
গত কাল, বিজেপির ২৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিদ্যুৎকমল সরকারের নেতৃত্বে দিনহাটার আমবাড়ি এলাকায় একটি মিছিল হয়েছিল। ডায়মন্ড হারবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে বিজেপি কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগে শনিবার যে তোলপাড় শুরু হয়েছিল, তারই বিরোধিতায় মিছিল করেন বিদ্যুৎকমল সরকার। এদিন সেই মিছিলের প্রতিবাদে আমবাড়িতেই পাল্টা মিছিল করে তৃণমূল। সেখানেই দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মী জখম হন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিদ্যুৎকমল সরকারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে দাবি। এতেই শেষ নয়। মিছিলের পর ফের বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর চলে। ঘটনার জেরে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করতে হয়। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু যে বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চলেছে, তিনি গত কাল থেকেই বাড়িতে নেই। সূত্রের খবর, তাঁর পাশে আরও একটি বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, সবটাই ভিত্তিহীন। শাসকদলের মিছিল শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্ত দিনহাটার নানা এলাকা।
শুভেন্দুর সভা...
গত কাল ডায়মন্ড হারবারের সভার আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কর্মী-সমর্থকরা অত্যাচারিত। মারামারিতে জড়াতে বারণ করেছি। প্রশাসনিক আধিকারিকদের বলেছি, হাইকোর্টের অর্ডার, সভা করতে দিন। প্রাণ হাতে করে সভায় আসছেন মানুষ'। হটুগঞ্জের বাজার এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দফায় দফায় উত্তেজনা মাথা চাড়া দেয়। প্রথমে হটুগঞ্জ বাজারের কাছে তৃণমূলের তরফে অবরোধ করা হয়েছিল। সঙ্গে চলে স্লোগান। তৃণমূলের তরফে বার বার বলা হয়, তারা কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধী। যদিও বিজেপির অভিযোগ ছিল, শুভেন্দুর সভায় যাতে কোনও কর্মী-সমর্থক না আসতে পারে সেই কারণেই পরিকল্পনামাফিক এই ব্যবস্থা। ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। একাধিক দোকানে আগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশবাহিনী নামানো হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তৃণমূলের দাবি, স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, তাদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। গালিগালাজের অভিযোগও ওঠে।
আরও পড়ুন:৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন অভিষেক, একদিন পরই ইস্তফা তিন আধিকারিকের






















