High cholesterol : 'হার্ট তেল দেওয়া পছন্দ করে না', কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুরন্ত দাওয়াই চিকিৎসকের
Cholesterol : হার্ট ও কোলেস্টেরলের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড়। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়া মানেই হার্ট অ্য়াটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। কীভাবে এড়াবেন বিপদ ? জানালেন, চিকিৎসক রিমিতা দে।
কোলেস্টেরল মানেই কি শরীরের শত্রু? না। কোলেস্টেরল দুই রকমের। LDL ও HDL । এবার এই এলডিএলের মাত্রাটা বেড়ে গেলেই দুশ্চিন্তা - ব্যাড কোলেস্টেরল। এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাটা নিয়ন্ত্রণ করাই আসল চ্যালেঞ্জ। কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ, যা মানুষের শরীরে থাকবেই। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়া মানেই স্ট্রোক (Stroke), হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) মতো সমস্যার দিকে এগিয়ে যাওয়া। এই পরিস্থিতিটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, জানালেন চিকিৎসক রিমিতা দে।
হার্ট ও কোলেস্টেরলের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড়। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়া মানেই হার্ট অ্য়াটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। ডা. দে জানালেন, 'কোলেস্টেরল মূলত আমরা ফ্যাট থেকে পাই। এবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তখনই সমস্যা । কোলেস্টেরল বাড়লে তা রক্তবাহিকার মধ্যে সঞ্চিত হয়। আর তাতে রক্ত সঞ্চালনের জায়গাটা কমে গিয়ে রক্তপ্রবাহে সমস্যা হয়। আর সেই পরিস্থিতিটাই হার্ট অ্যাটাকের কারণ। এছাড়া হাই কোলেস্টেরল থেকে ঘটতে পারে স্ট্রোকও।
কোলেস্টেরল হাই অর্থাৎ ডিসলিপিডিমিয়া। যেখানে ট্রাইগ্লিসারাইড হাই, LDL হাই আর HDL লো। লিপিড প্রোফাইল স্বাভাবিক করতে নিতে হবে সঠিক ডায়েট।মনে রাখতে হবে যে কোনও রকম তেলে ভাজা জিনিসই ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। কোনও তেলই কিন্তু কোলেস্টেরল সমস্যায় জর্জরিত রোগীর পক্ষে ভাল নয়। তা তৈল প্রস্তুতকারক সংস্থা যতই দাবি করুক না কেন ! হার্টের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য, LDL কোলেস্টেরলের মাত্রা 100 mg/dl এর কম হওয়া উচিত এবং ট্রাইগ্লিসারাইড 150 mg/dl এর কম হওয়া উচিত, জানালেন চিকিৎসক । ১৫০-২০০mg/dL র মধ্যে থাকতে হবে মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা।
এবার বুঝবেন কীভাবে যে কোলেস্টেরল বেড়েছে? ডা. রিমিতা দে জানালেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার কোনও বাহ্যিক লক্ষণ ধরা পড়ে না। হয়ত কারও হার্ট অ্যাটাক হয়, বা স্ট্রোক হল, বা অন্য কোনও অসুখ করল, তখন তার আনুসাঙ্গিক পরীক্ষা করাতে গিয়ে দেখা গেল সেই ব্যক্তি কোলেস্টেরল হাই। অনেক সময় তো ছোটবেলা থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কোলেস্টেরল বেড়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বোঝা যায় না। অর্থাৎ কোলেস্টেরল বাড়ার বিষয়টা উপসর্গহীন। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন ডা. রিমিতা দে। তবে কোলেস্টেরল অতিরিক্ত বেশি হলে খুব কম ক্ষেত্রে xanthelasma দেখা যায় অর্থাৎ চামড়ায় হলুদ স্পটের মতো।
এবার সবথেকে বড় প্রশ্ন হল, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী করতে হবে?
চিকিৎসক জানালেন,
- কোলেস্টেরল বাড়ার আগেই সতর্ক হোন।
- আগে থেকেই খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সতর্ক হোন।
- এখন তো ছোটবেলা থেকেও অনেকের হাই কোলেস্টেরল।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- তেল -চর্বি জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। মনে রাখবেন, হার্ট 'তেল মারা'পছন্দ করে না।
- রিফাইনড অয়েল খাওয়া ভাল, সেটা কিন্তু নয়।
- একটা বয়সের পর কার্বোহাইড্রেটেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
- মাছ, মাংস খান, তবে কষিয়ে রান্না করে নয়।
- সবজি ও ফল খান।
- নুন কম খান হার্ট ভাল রাখতে।