Howrah News: হরিনামের ভোগ খেয়ে অসুস্থ প্রায় গ্রামসুদ্ধ মানুষ, শিশু-সহ হাসপাতালে ভর্তি কমপক্ষে ৩০
Howrah Amta News: রবিবার সকাল থেকে একের পর এক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের প্রত্যেকেই ওই প্রসাদ খেয়েছিলেন এবং প্রত্যেকের উপসর্গও প্রায় এক।
সুনীত হালদার, হাওড়া: হরিনাম মহোৎসবের ভোগ খেয়ে গ্রামসুদ্ধ মানুষই প্রায় অসুস্থ। তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে হাওড়ার আমতায়। কমপক্ষে ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে পাঁচ-ছ’জন শিশুও। প্রসাদের ভোগে মেশানো জল এবং অন্যান্য সামগ্রী থেকে বিষক্রিয়ার জেরেই সকলে একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান করছেন চিকিৎসকেরা (Food Poisoning)।
সকলেরই এক উপসর্গ
হাওড়ার (Howrah News) আমতার (Amta News) সারদা দলুইপাড়ার ঘটনা। শনিবার রাতে সেখানে হরিনাম মহোৎসব ছিল। হরিনাম শুনতে হাজির হয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। সেখানেই মহাপ্রসাদের ভোগ বিতরণ করা হয়। চেটেপুটে সকলেই তা খেয়েছিলেন। আবার বাড়িও এনেছিলেন। রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেও বেঁচে যাওয়া সেই প্রসাদ খান অনেকে। তার পরই বিপত্তি দেখা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল থেকে একের পর এক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের প্রত্যেকেই ওই প্রসাদ খেয়েছিলেন এবং প্রত্যেকের উপসর্গও প্রায় এক। পেটে ব্যাথা, বমি, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয় সকলের মধ্যেই। ঘন ঘন বমি করতে থাকেন তাঁরা। পেটের যন্ত্রণা। কাতরাতে থাকেন। একসঙ্গে সকলের মধ্যে এমন উপসর্গ দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: Alipurduar News: পুলিশ দেখে চম্পট পাচারকারী দলের, পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হল বিশালাকার কচ্ছপ
তড়িঘড়ি অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাগনান গ্রামীণ হাসপাতাল এবং আমতা গ্রামীণ হাসপাতাল মিলিয়ে ভর্তি করা হয় প্রায় ৩০ জনকে। এই মুহূর্তে সেখানেই ভর্তি রয়েছেন সকলে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। প্রসাদ মাখার জল এবং অন্যান্য উপকরণ থেকেই বিষক্রিয়ার জেরেই এসঙ্গে অত জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
গ্রামে মেডিক্যাল টিম
আমতা গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎক দেবজিৎ দাস বলেন, “ভোগ খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন সকলে। ভোগে যে জল ব্যবহার করা হয়েছিল, তা থেকেই সমস্যা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। প্রত্যেকে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায়। তাই চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে সকলকে।”
হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “বিষক্রিয়া থেকেই এমন পরিস্থিতি বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। সকলের মল, মূত্রের ননুমা সংগ্রহ করে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হচ্ছে। তার রিপোর্ট এলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসাদ তৈরিতে এলাকার টিউবওয়েল থেকেই জল নেওয়া হয়েছিল। তবে সেখান থেকেই কিছু হয়েছে কিনা, নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। এ দিন একসঙ্গে এত জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠায় জেলা প্রশাসন।