Howrah: ডেঙ্গি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, বৈঠকে পুর প্রশাসন, উপস্থিত ফিরহাদ হাকিম
Dengue Fever: বালির রবীন্দ্র ভবনে জরুরি ভিত্তিতে একটি মিটিং হয়। এদিন মিটিংয়ে ছিলেন নগর ও উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সমবায় মন্ত্রী এবং জেলার পদস্থ কর্তারা।
ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: বৃষ্টি হচ্ছে, কখনও আবার রোদ। ঠিক এমন আবহাওয়াতেই থাবা বসাচ্ছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গি। আর ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে হাওড়া পুর এলাকাতেও। একই ছবি বালিতেও। যা নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, তার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
বুধবার বালির রবীন্দ্র ভবনে জরুরি ভিত্তিতে একটি মিটিং হয়। এদিন মিটিংয়ে ছিলেন নগর ও উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সমবায় মন্ত্রী এবং জেলার পদস্থ কর্তারা। পড়শি জেলা হুগলির (Hooghly) উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান এবং হুগলির জেলাশাসকও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। আলোচনা শেষে ফিরহাদ হাকিম জানান, যেভাবে ডেঙ্গি বাড়ছে তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। গতকাল একজন মারা গিয়েছেন। এ নিয়েই আজ বৈঠক হয়েছে। ডেঙ্গি রুখতে যে সমস্ত জায়গায় খামতি আছে তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতর মোকাবিলায় হাওড়া (Howrah) পুরসভার পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। এমনকী এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি-তথ্য গোপনেরও অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবারই এমন অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজারের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু সেদিন কেন্দ্রীয় পোর্টালে ওই সংখ্যা মাত্র ২৩৯। তার ফলেই উঠেছে তথ্য গোপনের অভিযোগ।
মশাবাহিত রোগের আতঙ্ক:
বর্ষা শুরুর পর থেকেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অগাস্টে, খাস কলকাতার কালীঘাটে ডেঙ্গির কারণে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তারপরে হরিদেবপুরেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক বাসিন্দার মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি, হাওড়া ও হুগলিতেও ডেঙ্গির প্রকোপে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অগাস্টে হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরে চলতি মাসেও হাওড়ায় এক পড়ুয়া ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা যান। হুগলির উত্তরপাড়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে। সেপ্টেম্বরেই হুগলির উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও জানানো হয়েছে, হুগলির উত্তরপাড়া, রিষড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর পুর এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রবণতা অনেকটা বেশি।
পরিস্থিতি সামলাতে আগেভাগেই প্রস্ততি নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় মশা মারার তেল স্প্রে করা, মশার লার্ভার অনুকূল পরিবেশ নষ্ট করার কাজ চলছে। পাশাপাশি চলছে সচেতনতার কাজও।
আরও পড়ুন: 'আসানসোলের মানুষ যদি বলেন আমি কয়লার সঙ্গে যুক্ত, রাজনীতি ছেড়ে দেব', তোপ মন্ত্রীর