Howrah Flower Price : আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে লাগামছাড়া মূল্য জবার! কালীপুজোয় ১০৮ জবার মালা কিনতে...
মায়ের পায়ে নিবেদন করার জন্য জবা ফুলের চাহিদা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফুলের দামও।

সুনীত হালদার, হাওড়া : আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এবং অতি বৃষ্টির জেরে এবারের কালীপুজোয় ফুলে দাম আকাশছোঁয়া। মায়ের পায়ে নিবেদন করার জন্য জবা ফুলের চাহিদা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফুলের দামও। হাওড়ার ফুল চাষিরা জানিয়েছেন, চাহিদা অনুযায়ী জবা ফুলের উৎপাদন না হওয়ায় এই সমস্যা। এর পাশাপাশি অন্যান্য ফুলের দামও কিছুটা বাড়বে। এর ফলে গৃহস্থদের মাথায় হাত। বাজেট বাড়ছে বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তাদের।
বাগনানের দামোদর এবং রূপনারায়ণ নদীর চরে কমপক্ষে পাঁচ হাজার ফুলচাষীর রুটি রুজি ফুল চাষ। এখানকার দেউলটির ওরফুলি অঞ্চলে হেলেদীপ, নাচক, ঘোড়াঘাটা মাকরদহ, খানজাদাপাড়া, বীরপুর, কাঁটাপুকুর এইসব গ্রামগুলিতে চাষিরা সারা বছর ফুল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবছর উৎসবের মরশুমে ফুলের চাহিদা বাড়লে তাদের হাতেও বাড়তি পয়সা আসে। কিন্তু এবছর রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি এবং হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ফুল চাষের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত কালীপুজোর আগে জবা ফুলের চাষ। প্রতিবছরের মতো এবারও জবা ফুলের ভালো চাহিদা থাকলেও ফলন কম। ফলে কালীপুজোর জন্য ১০৮ জবা ফুলের মালার দাম পাইকারি বাজারে চড়তে পারে ১১০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। খুচরো বাজারে তা বিক্রি হতে পারে দেড়শ টাকা বা তার বেশি দরে। একইভাবে অপরাজিতা, গাঁদা, দোপাটি সহ অন্যান্য ফুলের দাম বাড়তে পারে এমনটাই জানিয়েছেন ফুল চাষিরা।
কী বলছেন ফুল চাষিরা ?
জবা ফুল চাষিরা জানিয়েছেন প্রথমে বৃষ্টি এবং পরে আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে গাছে অনেক কম ফুল ধরেছে। গাছের গোড়ায় জল জমে যাওয়ার ফলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কুঁড়ি অবস্থায় অনেক ফুল ঝরে গেছে। আবার অনেক গাছের পাতাও নষ্ট হয়ে গেছে। সেই কারণে ফলন কম।
সোমবার কালীপুজো। তাই ফুল চাষিরা এখন মাঠে জবা এবং অন্যান্য ফুল তুলতে ব্যস্ত। সেই ফুল দিয়ে তৈরি হচ্ছে মালা। তারপর তারা সেই ফুল এবং মালা নিয়ে সরাসরি চলে আসবেন কলকাতার জগন্নাথ ঘাট ফুল বাজারে। অনেকে আবার ফুল তুলে তা পাঠিয়ে দিচ্ছেন কোল্ড স্টোরে। সেখান থেকেই পাঠানো হবে বাজারে। তবে তাদের আশা দাম যাই হোক ভক্তরা মায়ের পুজোর জন্য চড়া দামে জবা কিনতে পিছুপা হবেন না।






















