Howrah News: হাওড়ায় দাউদাউ আগুনে পুড়ল বন্ধ দোকান! কালো ধোঁয়ায় ঢাকল গোটা এলাকা
স্থানীয় সূত্রে খবর, পাশেই সিপিএম পার্টি অফিস এবং কিছুটা দূরে তৃণমূল পার্টি অফিসেও আগুন ছড়িয়ে আশঙ্কা ছিল।

সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার কদমতলায় দোকানে ভয়াবহ আগুন। ভস্মীভূত চায়ের দোকান। গতকাল রাত সোয়া ২টো নাগাদ কদমতলা পাওয়ার হাউস মোড়ে ওই দোকানে আগুন লাগে। দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে চায়ের দোকান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পাশেই সিপিএম পার্টি অফিস এবং কিছুটা দূরে তৃণমূল পার্টি অফিসেও আগুন ছড়িয়ে আশঙ্কা ছিল। ব্যাঁটরা থানার পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে দমকল দ্রুত পৌঁছে যায়। ২টি ইঞ্জিন মিনিট পঁয়তাল্লিশের মধ্যে আগুন নিভিয়ে ফেলে। কী থেকে বন্ধ চায়ের দোকানে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কিছুদিন আগে হাওড়ার সাঁকরাইলে শিল্প তালুকে প্লাস্টিকের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। গতকাল বিকেল ৪টে নাগাদ সাঁকরাইলের পলি পার্কে প্লাস্টিকের কারখানায় আগুন লাগে। বিভিন্ন রাসায়নিক ও প্লাস্টিক সামগ্রী মজুত থাকায় দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা কারখানা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। আশেপাশে আরও কারখানা থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের ১২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
রাজ্যের অন্যত্র অগ্নিকাণ্ড
সম্প্রতি আগুনে পুড়ে ছারখার হয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভার ভ্যাট। ছাই উড়ে গিয়ে পড়ছে বারাসাতে। পরিস্থিতি ভয়াবহ। গতকাল এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুর চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ ও পুর পারিষদ ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম। বিক্ষোভের ছবি ভাইরাল। গতকাল দুপুর ৩টে নাগাদ মধ্যমগ্রামের দিগবেরিয়া দক্ষিণ হাট এলাকায় ভ্যাটে আগুন লাগে। দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে আবর্জনার স্তূপ। আজ সকালেও দমকলের চারটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভা।
শিলিগুড়িতে বেআইনি তেলের গুদামে ভয়াবহ আগুন। শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের উল্টো দিকেই এই বেআইনি তেলের গুদাম। সেখানেই গতকাল রাত ১১টা নাগাদ আগুন লাগে। দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে গোটা গুদাম। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তড়িঘড়ি পৌঁছে যায় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। ইন্ডিয়ান অয়েলের সহযোগিতায় ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনেন দমকল কর্মীরা। কী থেকে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রশ্ন উঠছে, শিলিগুড়ি শহরের বুকে প্রকাশ্যে কীভাবে বেআইনি তেলের গুদাম চলছে? পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি কোথায়?






















