(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Howrah News: ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র উলুবেড়িয়া, অগ্নিসংযোগ, পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের
Howrah Road Accident News: ঘাতক ডাম্পারের চালক পলাতক। পুলিশকে লক্ষ্য ইট ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। আগুন নেভাতে গেলে দমকলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
সুনীত হালদার, উলুবেড়িয়া (হাওড়া): ডাম্পারের ধাক্কায় (Road Accident) একজনের মৃত্যুতে রণক্ষেত্র হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়া (Uluberia)। এই দুর্ঘটনায় আমতা রোডে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই ধুন্ধুমার শুরু হয়ে যায়। পরপর ৩টি ডাম্পারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘাতক ডাম্পারের চালক পলাতক। পুলিশকে লক্ষ্য ইট ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। আগুন নেভাতে গেলে দমকলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নামল র্যাফ।
উল্লেখ্য, গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) নন্দকুমারে (Nandakumar) মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) প্রাণ কেড়েছিল দুজনের। জানা গেছে, গতকাল নন্দকুমার থানা এলাকায় ৪১ নম্বর নম্বর জাতীয় সড়কের হাঁসগেড়িয়ার কাছে এই পথ দুর্ঘটনায় ঘটে। এই দুর্ঘটনার দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও ২ জন। আহতরা তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রের খবর, নন্দকুমারে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে হাঁসগেড়িয়ার কাছে একটি ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলে দুজন মারা যায় এবং আহত দুজনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে পথ দুর্ঘটনা ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হাওড়ার ধূলাগড়ে । ওই দিন সকালে ১৬ নম্বর জাতীয় দুটি বাসের সংঘর্ষে আহত হন ৬ জন যাত্রী। এরপরই বাস দুটিতে ভাঙচুর চালান উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুরের একটি ভিডিও কার্যত ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় । যেখানে দেখা যায়, কাঠের পাটাতন দিয়ে মেরে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাসগুলির একের পর এক জানালা। কাচের গুঁড়োয় সাদা হয়ে গিয়েছিল জাতীয় সড়ক। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, দুর্ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ, ধূলাগড়ের সন্ধিপুরে যাত্রী তোলার সময় ধর্মতলাগামী বেসরকারি বাসকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে নিউটাউনগামী আরেকটি বেসরকারি বাস। যার জেরে আহত হন ৬ জন যাত্রী। যার পরই বাসযাত্রী ও উত্তেজিত স্থানীয় জনতা মিলে বাসদুটিতে ভাঙচুর চালায়। যার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। গোটা ঘটনার জেরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বেশ কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও বাসযাত্রীদের অভিযোগ, জাতীয় সড়কে চলার সময় মাঝেমধ্যেই রেষারেষিতে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন বাস। যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে তুমুল গতিতে ছোটে যেগুলি।