Cyclone Dana In Howrah: 'দানা'র দাপটে নদী ভাঙনের আশঙ্কা, উলুবেড়িয়ার জগদীশপুরে বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে পুরোদমে
Howrah News: উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জগদীশপুরে গঙ্গা নদীর পাড়ের ভাঙন অব্যাহত। এলাকা দিয়ে জাহাজ চলাচলের ফলে ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙন আটকানো যাচ্ছে না।
সুনীত হালদার, হাওড়া: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে নদী ভাঙনের আতঙ্ক গ্রাস করেছে উলুবেড়িয়ার জগদীশপুরে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তার জন্যই সেখানে নদী বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। যেই কাজ দেখতে আজ বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক ও সেচ দফতরের আধিকারিকরা।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জগদীশপুরে গঙ্গা নদীর পাড়ের ভাঙন অব্যাহত। এলাকা দিয়ে জাহাজ চলাচলের ফলে ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙন আটকানো যাচ্ছে না। এমনটাই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনের পর দিন নদী ভাঙনে আতঙ্ক বাড়ছে। এরই মধ্যে ঘূর্নিঝড় 'দানা' আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলাশাসক পি দীপাপ্রিয়া, মহকুমা শাসক মানস কুমার মন্ডল, উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস সহ সেচ দফতরের আধিকারিকরা।
উলুবেরিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান কাজ পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন, ''নদী বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেইজন্যে সেচ দফতরের আধিকারিকরা ও জেলাশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোলরুম খোলার পাশাপাশি নদী পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে মাইকে সচেতনতা বার্তা দেওয়া হচ্ছে।''
আবহাওয়া দফতর সূত্রে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে মধ্যরাত থেকে কাল সকালের মধ্যে আছড়ে পড়বে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। পুরী ও সাগরদ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়বে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। কাঁচা বাড়ি ছেড়ে মন্দারমণিতে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র গতির হেরফের ঘটলে ল্যান্ডফলের সময় এগিয়ে আসতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত গতিপথে কোনও হেরফের হয়নি। তাই ওড়িশায় নির্ধারিত সময়ে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে, তার সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গতেও পড়বে। ওড়িশা সংলগ্ন পূর্ব মেদিনীপুরেই ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব সবচেয়ে বেশি হবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। কলকাতাতেও তার রেশ অনুভূত হবে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা ১ থেকে ২ মিটার। .৫ থেকে ১ মিটারের মতো জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাগুলিতে। কলকাতায় সকাল থেকে বৃষ্টি হলেও, দুপুর থেকে বৃষ্টি বন্ধ। কিন্তু সন্ধের পর থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে কলকাতায় হাওয়ার দাপট থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।