Bangladesh Human Trafficking: মানব পাচার মামলায় দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ঘোষণা, কী সিদ্ধান্ত NIA এর বিশেষ আদালতের ?
Human Trafficking Case NIA ON Two Bangladeshi RI : মানব পাচার মামলায় দুই বাংলাদেশিকে কঠোর শাস্তি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার

নয়াদিল্লি: মানব পাচার মামলায় দুই বাংলাদেশিকে সশ্রম কারাদণ্ড দিল NIA এর বিশেষ আদালত। NIA-র বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, শাহাবুদ্দিন হোসেন ওরফে মুন্না এবং নুর করিম নামের দুই বাংলাদেশিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। পাশাপাশি দুজনকেই ১১ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। দুজনেই বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন, পাক-হ্যান্ডলারদের সাহায্যে বাংলাদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল জ্যোতি? ক্রমশ ঘনীভূত রহস্য
মূলত ২০২৩ সালে দায়ের করা মামলায়, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন হোসেন ওরফে মুন্না এবং নুর করিমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। NIA এরপর দুজনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট ফাইল করেছিল। পাশাপাশি এই মামলায় তৃতীয় অভিযুক্ত বাবু ওরফে মহম্মদ শরিফুল বাবুমিঞ্চার (Babu SK alias Babu Shoriful alias Md Soriful Babumiya) বিরুদ্ধেও এখনও আলাদাভাবে বিচার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। এই বাবুও একজন বাংলাদেশের নাগরিক।
NIA এর তদন্তে উঠে আসে, শাহাবুদ্দিন হোসেন এবং নুর করিম দুজনেই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তাঁরা আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ জাল ভারতীয় পরিচয় পত্র জোগাড় করেছিল। এখানেই শেষ নয়, তারপর জাল সিমও জোগাড় করেছিলেন। ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে খুলেছিলেন জাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। এই তৃতীয় অভিযুক্ত বাবুর সঙ্গে মিলে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে পাচারের চক্রে জড়িত ছিল !
উঠেছে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। যাদেরকে পাচার করে ভারতে নিয়ে আসা হত, তাঁদেরকে এখানে থাকতে বাধ্য করা হত। জোর করে কাজ করানো হত।অভিযুক্তরা তাঁদের কোনওভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দিত না। কম মায়না তো দিতই, সেই সঙ্গে চলত অকথ্য শোষণ। NIA আরও জানিয়েছে, সীমান্তের দুর্বল জায়গাগুলিকে কাজে লাগিয়ে পরিচয় পত্র জালিয়াতির কাজ চালাত তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চার বাংলাদেশী-সহ একজন ভারতীয় দালালকে গ্রেফতার করেছিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সকালে হাঁসখালি থানার পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, কয়েকমাস আগে এই বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, এমনটাই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছিল পুলিশ।
অবৈধভাবে দালালের মারফত তারা বাংলাদেশের ফেরত যেতে চেয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল এবং সে কথা স্বীকারও করেছিলেন ওই ভারতীয় দালাল। ধৃতদের পুলিশি হেফাজত চেয়ে রাণাঘাট মহকুমা আদালতে পেশ করে হাঁসখালি থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত চার বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নাম জসিম উদ্দিন, বাহারুল শেখ, কুদ্দুস সরদার ও অকলিমা সরদার। ধৃত ভারতীয় দালালের নাম রাজীব বিশ্বাস। বাড়ি হাঁসখালি থানার বগুলা এলাকায়।























