Humayun Kabir : 'আমার পুত্র-সন্তান জন্মালে আমি বাবর না হুমায়ুন নাম রাখব, মুখ্যমন্ত্রী বলে দেবেন?' আক্রমণাত্মক হুমায়ুন
হুমায়ুনের হুঙ্কার, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি যখন মন্দির বানান, আমরা তো তার বিরোধিতা করি না। তিনি যখন কার্নিভাল করেন, রেড রোড আটকে, আমরা তো তার বিরোধিতা কোনওদিন করি না।'

কলকাতা : হুঙ্কার ছেড়েছেন! হুঁশিয়ারি দিয়েছেন! মুর্শিদাবাদের বুকে বাবরি মসজিদ তৈরির ঘোষণা করেছেন । তার জেরে দল থেকেও সাসপেন্ড হয়েছেন। কিন্তু তারপরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে আজ, ৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ ১৯৯২ সালে যে দিন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, সেদিনই মুর্শিদাবাদের বুকে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করতে চলেছেন ভতরপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এই নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। ৬ ডিসেম্বরের মতো দিনে হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের ঘটনায় শুভেন্দু থেকে অধীর, বিরোধী মাথাদের আক্রমণের মুখে তৃণমূলনেত্রীই।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, এই দিনে, এই বিতর্কিত নামে, বিতর্কিত একটি ডেটে ঠিক করে, শিলান্য়াস মমতা ব্য়ানার্জির পুলিশ করতে দেবে। আসলে মমতা ব্য়ানার্জির মুখ আর মুখোশ দুটো আলাদা।
অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরীরও তীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই। অধীরের দাবি, '
বাংলার দিদি এই পথ দেখিয়েছে। জগন্নাথদেবের মন্দির হয়ে গেল দিঘার তীরে। সেখান থেকে চলে গেল দিদি এবার পর্বতে। মহাকাল হবে উত্তরবঙ্গে। মধ্যবঙ্গ বাদ থাকবে কেন? ...দুর্গাঅঙ্গন, কোটি কোটি টাকা খরচা চলছে। এটা দিদি তৈরি করেছে। তার এগুলো প্রতিফলন। প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।'
আর এদিকে হুমায়ুনের হুঙ্কার, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি যখন মন্দির বানান, আমরা তো তার বিরোধিতা করি না। তিনি যখন কার্নিভাল করেন, রেড রোড আটকে, আমরা তো তার বিরোধিতা কোনওদিন করি না। যখন তিনি সরকারি টাকায় একটা সম্প্রদায়কে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছেন। তখন তো আমরা বিরোধিতা করিনি। আমি সংবিধানের উপরে দাঁড়িয়ে আমি আমার অধিকার মসজিদ করার। সেই মসজিদের কী নাম দেব? আমার পুত্র-সন্তান জন্মালে আমি তার নাম বাবর রাখব না হুমায়ুন রাখব,উনি মুখ্যমন্ত্রী বলে দেবেন? '
এদিকে হুমায়ুনের মন্তব্য শুনে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা আক্রমণ, হুমায়ুন তো যে বিজেপি বাবরি মসজিদ ভেঙেছিল, সেই দলেও গিয়েছিলেন ...তিনিই বাবরি মসজিদের কথা বললে মানুষের মনে প্রশ্ন জাগবে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের অযোধ্য়ায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল । তারপর সরযু ও গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে । আর এখন ২০২৫ এ, সেই ৬ ডিসেম্বরেই পশ্চিমবঙ্গে বাবরি মসজিদ শিলান্যাস বিতর্কে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।






















