Humayun Kabir: হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য টাকার পাহাড় ! টাকা গুনতে আনা হয়েছে মেশিন
Humayun Kabir Babri Masjid: টাকা গুনতে ৩০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে খবর। শুধু QR কোড স্ক্যান করেই জমা পড়েছে ৯৩ লক্ষ টাকা, দাবি হুমায়ুন কবীরের।

মুর্শিদাবাদ : হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য টাকার পাহাড় ! প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য জমা পড়া টাকা গুনতে আনা হয়েছে মেশিন। হুমায়ুন কবীরের রেজিনগরের বাড়িতে আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন। টাকা ভর্তি ১১টি ট্রাঙ্ক রয়েছে। আর সেই ট্রাঙ্কে থাকা টাকা গোনার জন্যই আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন। টাকা গুনতে ৩০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে খবর। শুধু QR কোড স্ক্যান করেই জমা পড়েছে ৯৩ লক্ষ টাকা, দাবি হুমায়ুন কবীরের। শনিবার মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন হুমায়ুন কবীর। রবিবার নিজে হাতে ইট নিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন।
মুর্শিদাবাদের সঙ্গে বীরভূম, মালদাতেও 'বাবরি' মসজিদ? বীরভূম, মালদাতেও 'বাবরি' মসজিদ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। রামপুরহাট, সিউড়ি থেকে কিছু লোক এসে অনুরোধ করেছেন। মালদা থেকেও অনেকে যোগাযোগ করেছেন, দাবি হুমায়ুনের। বীরভূম, মালদায় 'বাবরি' মসজিদের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস হুমায়ুন কবীরের।
অন্যদিকে, নতুন দল ঘোষণা নিয়েও নয়া তথ্য দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর নতুন দলের সঙ্গে MIM-এর জোট হবে। চাইলে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, ISF-ও আসতে পারে। বললেন সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যদিও তাঁকে শুভেন্দু অধিকারীর টিমের কোর মেম্বার বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন MIM-এর মুখপাত্র। হুমায়ুনের নতুন দল নিয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস কেউই।
তৃণমূল থেকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তিনি কি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন? এই নিয়েই চলছিল জলঘোলা। খোলসা করলেন হুমায়ুন নিজেই। ঘোষণা করেও পিছু হঠলেন হুমায়ুন কবীর। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না। জানিয়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। ভোটারদের আপত্তির কারণেই সিদ্ধান্ত বদল, জানালেন হুমায়ুন কবীর। ভরতপুরের বিধায়কের সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলও সাসপেন্ডেড নেতার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সভার দিনেই ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। তৃণমূলনেত্রীর সভায় এসে সেই সাসপেন্ডের ঘোষণা শুনে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার ঘোষণা করেন তিনি। শনিবার সুর কিছুটা নরম করে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখেন হুমায়ুন কবীর। আর রবিবার একেবারে ইউটার্ন নিয়ে জানিয়ে দিলেন বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। স্পষ্ট করলেন সিদ্ধান্ত বদলের কারণও। হুমায়ুন কবীরের এই ভোলবদল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।






















