West Midnapur: 'চাকরি হবে ভেবেছিলাম, এখন হতাশ' মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে পাওয়া নিয়োগপত্রে বিভ্রান্তি
নিয়োগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, গুজরাতের সানন্দে রিপোর্টিং করতে হবে -১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর থেকে চাকরিপ্রার্থী যখন তার চিঠি হাতে পাচ্ছেন, তখন ১৫ সেপ্টেম্বর, সকাল গড়িয়ে দুপুর!
সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর : হুগলির পর পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapur)। মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে পাওয়া নিয়োগপত্র নিয়ে ফের বিভ্রান্তি। পিংলার বাসিন্দা কুশল দে-র দাবি, ১৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে গুজরাতের (Gujrat) সানন্দে টাটা মোটর্সে অন জব ট্রেনিংয়ের নিয়োগপত্র পান। নিয়োগপত্র পেয়ে দেখেন, ওই দিনই সংস্থায় যোগ দিয়ে রিপোর্টিং করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ, নিয়োগপত্রে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, তাঁর নাম, নম্বরের জায়গা ফাঁকা ছিল। হতাশ চাকরিপ্রার্থী। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান তিনি। খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আশ্বাস জেলা প্রশাসনের। নিয়োগ দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে রাজনৈতিক গিমিক, তাই নিয়োগপত্র বিলি, কটাক্ষ বিজেপির। নিয়োগপত্রে ছাপার ভুল, সাফাই তৃণমূল নেতৃত্বের।
সময় বিভ্রান্তি: নিয়োগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, গুজরাতের সানন্দে রিপোর্টিং করতে হবে -১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) খড়গপুর থেকে চাকরিপ্রার্থী যখন তার চিঠি হাতে পাচ্ছেন, তখন ১৫ সেপ্টেম্বর, সকাল গড়িয়ে দুপুর!
খড়গপুর (Kharagpur) থেকে গুজরাত। দূরত্ব ২ হাজার ২৪ কিলোমিটার। স্বাভাবিকভাবেই পৌঁছতে পারেননি চাকরিপ্রার্থী। স্কুলের চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি! এরই মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের সঙ্গে প্রতারণার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে হুগলিতে!
এবার রিপোর্টিং-এর সময় নিয়েই বিভ্রান্তিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। পিংলার বাসিন্দা কুশল দে-র দাবি, ১৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর খড়গপুরের সভা থেকে গুজরাতের সানন্দে টাটা মোটর্সে অন জব ট্রেনিংয়ের নিয়োগপত্র পান। চিঠি পেয়ে দেখেন, ওই দিনই সংস্থার দফতরে রিপোর্টিং করতে বলা হয়েছে।
হতাশ প্রার্থীর পরিবার: সেখানেই শেষ নয়, দেখা যায় নিয়োগপত্রের বিষয়ে কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, সেই অংশে কারও নাম-ফোন নম্বর নেই। পিংলার চাকরিপ্রার্থী কুশল দের কথায়, আমরা খুব আনন্দে ছিলাম চাকরির খবরে। ১৫ তারিখ ফোন পেয়েছিলাম। সভায় যাওয়ার সময় কাগজ দেওয়া হয়। খুব দুঃখ পেলাম। ভেঙে পড়লাম। সিএম ম্যাডাম পুরোটা জানেন না। সহযোগিতা করুন।
চাকরিপ্রার্থীর বাবা বলছেন, চাকরি পাবে ভেবেছিলাম। এখন হতাশ। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে রাজনৈতিক গিমিক বলছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, নিয়োগপত্রে ছাপার ভুল। এবিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee Breaking News : SSC নিয়োগ প্রক্রিয়া কে দেখত ? CBI জেরায় বিস্ফোরক পার্থ