Sandeshkhali ED Raid:কোথায় শাহজাহান? ইডি-কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে হামলার ২ দিন পর রাজভবনে সিআরপিএফের আইজি
IG Of CRPF Bengal Circle: ২দিন পার, সন্দেশখালিতে ইডি-মিডিয়ার উপরে হামলায় এখনও গ্রেফতার শূন্য। কোথায় শাহজাহান? এখনও খোঁজ নেই তৃণমূল নেতার। ইডি-কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে হামলা, রাজভবনে সিআরপিএফের আইজি।
আবির দত্ত, কলকাতা: ২দিন পার, সন্দেশখালিতে ইডি-মিডিয়ার উপরে হামলায় এখনও গ্রেফতার শূন্য। কোথায় শাহজাহান? এখনও খোঁজ নেই তৃণমূল নেতার। ইডি-কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে হামলা, রাজভবনে সিআরপিএফের আইজি। রাজভবনে (IG Of CRPF Bengal Circle At Raj Bhawan) সিআরপিএফের বেঙ্গল সার্কেলের আইজি বীরেন্দ্র কুমার শর্মা। সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে প্রায় আধঘণ্টা রাজ্যপালের সঙ্গে কথা, সূত্রের খবর।
আর কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, সন্দেশখালি-কাণ্ড নিয়ে সিআরপিএফ জওয়ানরা তাঁদের দফতরে যা যা জানিয়েছেন, সেই সমস্ত বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে আইজি-র। গত শুক্রবার সকালে, রেশন দুর্নীতির তদন্তে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শেখ শাহজাহানের বাড়িতে আসেন ইডি আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। অভিযোগ, প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা খোলেও শেখ শাহজাহানের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। এর পর, তাঁর বাড়ির তালাবন্ধ দরজা ভাঙতে গেলেই বিপত্তি তৈরি হয়। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার অনুগামীরা জমায়েত হয়ে চড়াও হয় ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর। তারপরই খবর করতে গেলে এবিপি আনন্দর চিত্র সাংবাদিক সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে বেধড়ক মারধর করা হয়, ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরা। কেড়ে নেওয়া হয় লাইভ সম্প্রচারের সরঞ্জাম। ছিনতাই করে নেওয়া হয় এবিপি আনন্দর প্রতিনিধি সন্দীপ সরকারের মোবাইল ফোন। জানতে চাওয়া হয় ফোনের পাসওয়ার্ড। তা জানাতে না চাইলে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। তারপর পাসওয়ার্ড বলতে হয়।এরপর তাঁদের মারতে মারতে গ্রামের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কোনওরকমে প্রাণ হাতে নিয়ে দৌড় দিতে হয় সাংবাদিকদের। গাড়ির চালককেও মারধর করা হয়। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় এবিপি আনন্দর গাড়ি। আক্রান্ত হয় অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও। অন্য একটি সংবাদমাধ্যমের গাড়ির ড্রাইভারকে বেধড়ক মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে।
রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া...
গোটা ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করেন সে দিনই। ডিজিকেও রাজভবনে ডেকে পাঠান। শুধু রাজ্যপাল নন, কড়া প্রতিক্রিয়া শোনা যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও। বলেন, 'মা মাটি মানুষের সরকার এই তদন্ত আটকাতে কত টাকা আদালতে খরচ করেছে আমি জানতে চাই।' সঙ্গে সংযোজন, 'আমি মনে করি, সময় এসে গিয়েছে এই স্টেটে কনস্টিটিউশাল মেশিনারি ভেঙে পড়েছে।' তবে তাঁর বিশ্বাস, এই ঘটনায় পোড়খাওয়া অফিসারদের মনোবল ভাঙা যাবে না। বরং তা বাড়বে।'
আরও পড়ুন:স্কুটিতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় বোমা ফেটে জখম ২ দুষ্কৃতী, উদ্দেশ্য ছিল হামলা চালানোর ?