Rajanya Halder: AI দিয়ে ছবি বিকৃতির অভিযোগ, অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ রাজন্যা
TMCP News: রাজন্যার অভিযোগ, AI ব্যবহার করে তাঁর সেমি-ন্যুড ছবি তৈরি করে তা জুনিয়রদের মোবাইলে ছড়িয়ে দিয়েছে দাদারা। আর এই দাদারা শাসক দলেরই ঘনিষ্ঠ।

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : ছবি বিকৃতির অভিযোগ, অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের রাজন্যা হালদারের। সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের সাসপেন্ডেড TMCP নেত্রীর। লালবাজার সাইবার ক্রাইমেও অভিযোগ রাজন্যা হালদারের। AI-এর মাধ্যমে ছবি বিকৃতির অভিযোগ সাসপেন্ডেড TMCP নেত্রীর। কসবার ল'কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত মনোজিৎ মিশ্রর বিরুদ্ধে সামনে আসছে আরও সব চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ! মুখ খুলছেন একের পর এক পড়ুয়া। আর এর মধ্য়েই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাসপেন্ডেড নেত্রী রাজন্য়া হালদারও।
রাজন্যার অভিযোগ, AI ব্যবহার করে তাঁর সেমি-ন্যুড ছবি তৈরি করে তা জুনিয়রদের মোবাইলে ছড়িয়ে দিয়েছে দাদারা। আর এই দাদারা শাসক দলেরই ঘনিষ্ঠ। রাজন্যা আরও দাবি করেন, একজন মনোজিৎ মিশ্র নয়। আরও অনেক মনোজিৎ রয়েছেন তৃণমূলের শাসক দলে। এর আগে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেও তা পুলিশে জানাননি বলেই দাবি করেন রাজন্যা। তিনি বলেন, দলকে জানিয়েছেন। ভালবেসে দল করতেন তিনি। তাই চান দলই ব্যবস্থা নিক। তাতে আখেরে দলেরই শুদ্ধিকরণ হবে বলেও মনে করেন তিনি। দল বললে পুলিশে জানাবেন বলেছিলেন। তবে এবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজন্যা হালদার। ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
বারবার কয়েকটি জায়গায় মোবাইলে ছড়াচ্ছে তাঁর ছবি। কে বা কারা একাজ করেছেন সেই ব্যাপারে কয়েকজনকে সন্দেহ করছেন রাজন্যা। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে, তিনি তাঁদের পরিচয় সামনে আনবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও এই ছবি ঘিরে শুরু হয়েছে অনেক বিতর্ক। অনেকে বলছেন এগুলি আসব ছবি। এই ব্যাপারে পুলিশ যেন তদন্ত করে আসল তথ্য সামনে আনে, সেই দাবিও জানিয়েছেন রাজন্যা হালদার।
রাজন্যা বলছেন, 'আমার কিছু এআই বা ফটোশপ করা ছবি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। আমি চাই পুলিশ তদন্ত করে বলুক যে ওগুলো আমার ছবি নয়, এআই বা মর্ফড। আমার কিছু সাসপেক্ট লিস্ট আছে, যেসব দাদারা জুনিয়রদের মোবাইলে ছবি ছড়িয়ে দিয়েছিল। পুলিশকে জানিয়েছি। তারা তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম কথা নয়, তারা এখনও অধরা, সাজা পায়নি সেটাই বড় কথা। সাসপেক্ট লিস্ট দলকেও আগে জানিয়েছি। দল আমায় যথেষ্ট আশ্বস্ত করেছিল। বলা হচ্ছে, আমার ছবি ভাইরাল হয়েছিল, তাই আমি বলতে বাধ্য হয়েছি ওটা এআই বা মর্ফড। আমি চাই পুলিশ তদন্ত করে বলুক, আইন বলুক যে ওটা এআই বা মর্ফড ছবি। যে পরিস্থিতি তাতে আমার মনে হয়েছে আর হাত গুটিয়ে বসে থাকা উচিত নয়।'






















