Nawsad Siddique: ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল হেফাজত, ‘আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা’, বললেন নৌশাদ
Kolkata News: ধর্মতলা কাণ্ডে নৌশাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নিউ মার্কেট থানা। তিন দিনের পুলিশে হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে, শনিবার ফের তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
কলকাতা: ফের জেল হেফাজতেই ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবারও জেল হেফাজতে পাঠানো হল তাঁকে। শনিবার নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় নৌশাদকে। আদালতই ফের হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল তাঁর। নৌশাদের দাবি, তাঁকে আসলে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে। তবে মানুষের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি (Kolkata News)।
আদালতই ফের হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল তাঁর
ধর্মতলা কাণ্ডে নৌশাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নিউ মার্কেট থানা। তিন দিনের পুলিশে হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে, শনিবার ফের তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেখানেই ফের হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এ দিন আদালতে ঢোকার মুখে এ নিয়ে মুখ খোলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ। বলেন, "জেল-জরিমানা করে আমাকে আটকাতে পারবে না। মানুষের জন্য লড়াই চলবে। খুনের চেষ্টার মামলা আসলে একজন বিধায়ককে আটকে রাখার চেষ্টা।"
২১ জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাঙড়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ISF নেতা-কর্মীরা, যার আঁচ এসে পড়ে কলকাতায়। ISF ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ধর্মতলা। গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ আরও অনেক ISF নেতা কর্মীকে। বর্তমানে জেল হেফাজতে আছেন নৌশাদ।
এ দিকে, নোশাদের বন্ধুর চেন্নাইয়ের বাড়িতেও কলকাতা পুলিশের অভিযানে বিষয়টি সামনে এসেছে। তাতে নৌশাদের বন্ধু শেখ সামসুর আলম কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পেশায় ব্যবসায়ী সামসুর। তাঁর আইনজীবীর দাবি, সামসুর গয়না ব্যবসায়ী। তাঁর বাড়ি চেন্নাইতে। তিনি কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। ওই ব্যবসায়ী শুধুমাত্র নৌশাদ সিদ্দিকির বন্ধু।
ISF ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে, অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ধর্মতলা
সামসুরের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন। আদালতে ব্যবসায়ীর আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে পুলিশ অযথা হেনস্থা করছে। মামলা দায়ের করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি।
নৌশাদ -সহ অন্যদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে একযোগে সরব হয়েছে বাম এবং আইএসএফ। অশান্তি এড়াতে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারাও জারি করে পুলিশ। নৌশাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক গুরুতর এবং জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ এনে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তাতেই বার বার আটকে যাচ্ছে তাঁর জামিন।