South 24 Pargana: বঞ্চনা তরজার মাঝেই মৃত ব্যক্তির নামে ইস্যু জবকার্ড ! 'একশো' দুর্নীতিতে অদ্ভুত সব অভিযোগ
গ্রাহক জানতেই পারেননি তার নামে ইস্যু হওয়া জবকার্ড ব্যবহার জবকার্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একদিকে যখন একশো দিনের কাজের বকেয়া মেটানোর দাবিতে চলতি মাসে দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে বিজেপির (BJP) তরফে থেকে এ রাজ্যে একশো দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্যের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) মন্দিরবাজার ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (Krishnapur Gram Panchayat) এলাকায় একশো দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বিজেপি নেতা রণজিৎ হালদার আরটিআই করেন। সেই তথ্য হাতে আসার পর ব্যাপক বেনিয়ম প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে অভিযোগ।
কী দাবি অভিযুক্তের? এমনই এক অভিযোগকারী মাধবপুরের বাসিন্দা মন্টু ঘোষ। তাঁর দাবি, তাঁর জবকার্ড ছিল তা তিনি জানতেন না। এমনকি সেই জবকার্ডে কয়েক দফায় টাকাও তোলা হয়েছে। অভিযোগ, এই টাকা তুলেছেন গ্রামের বাসিন্দা অন্য মন্টু ঘোষ। তিনি আবার পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর আদালতে যান বঞ্চিত মন্টু ঘোষ। আদালত মন্দিরবাজার থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে মন্দিরবাজার থানা।
এ ছাড়াও মৃত ব্যক্তির নামেও মাস্টার রোল করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্ত মন্টু ঘোষ জানিয়েছেন,‘ আমি পঞ্চায়েতে ভ্যাকসিনের কাজ করে টাকা পেয়েছি। আমার কাছে কোনও জবকার্ড নেই। আমি কাজ করেছি টাকা পেয়েছি। আমি তৃণমূল করি।’ কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন তৃণমূল প্রধান স্বরুপ নস্কর জানিয়েছেন,‘ জবকার্ডের টাকা এভাবে অন্য খাতে দেওয়া যায় না। তবে আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি।’ মন্দিরবাজারের বিডিও মাসুদ রহমান জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্যের নেতারা