Jadavpur Case Update: স্থিতিশীল ইন্দ্রানুজ, কবে হাসপাতাল থেকে মুক্তি? জানিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ
Kolkata News: শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় আহত ইন্দ্রানুজের অবস্থা স্থিতিশীল।

কলকাতা: ইন্দ্রানুজকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মেডিক্যাল বোর্ড। যাদবপুর কাণ্ডের এক সপ্তাহের মাথায় কাল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরবে আহত ইন্দ্রানুজ। কাটা হয়েছে চোখের চারপাশের ১৪টি সেলাই।
গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী। পাল্টা শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় আহত হন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া পাটুলির বাসিন্দা ইনদ্রানুজ রায়। গাড়ি থামার পর সবাই মিলে যখন টেনেহিঁচড়ে চাকার নীচ থেকে বের করলেন, তখন তিনি আহত, রক্তাক্ত। আহত ছাত্রকে ভর্তি করা যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন বৈঠকে বসে কেপিসি-র মেডিক্যাল বোর্ড। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামীকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে আহত ছাত্রকে। এই ঘটনায় আট দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে। কেপিসি হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর চোখের চারপাশের সেলাই কাটা হবে। পায়ের চোটের অবস্থাও ভাল। আপাতত বাড়িতে বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে ইন্দ্রানুজকে।
এরইমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জখম ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের বাবা অমিত রায়কে ফোন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন ইন্দ্রানুজের মা-বাবা। ইন্দ্রানুজের বাবা অমিত রায় বলেন, "আমরা চাই প্রত্যেকের পদ থাকুক। বরং প্রত্যেকে আমাদের যার যা পদ আছে আমরা পদমর্যাদাটাকে যাতে মাথায় রাখি। আমাদের পদের যে মর্য়াদা আছে, সেইটাকে যাতে আমরা রক্ষা করতে পারি, সেইভাবে আমরা যাতে পদক্ষেপ করি।''
এদিকে ইন্দ্রানুজের অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পুলিশকে FIR করার নির্দেশ দেন। যাদবপুরকাণ্ডের ৩ দিন পর বুধবার, হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে FIR করেছে যাদবপুর থানা। FIR-এ নাম রয়েছে ব্রাত্য় বসু, তাঁর গাড়ির চালক, তৃণমূলপন্থী অধ্য়াপক ওমপ্রকাশ মিশ্র সহ অন্য়ান্য়র। ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার ১০৯ নম্বর ধারায় খুনের চেষ্টা, ৭৪ নম্বর ধারায় শ্লীলতাহানি, দুটোই জামিন অযোগ্য় ধারায় FIR করা হয়েছে। এছাড়া, ১১৫-র (২) ধারায়, মারধর, ৩৫১-র ৩-এ হুমকি, ৩-এর ৫-এ সংগঠিত অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bankura News: পুড়ে খাক বনাঞ্চল, এখনও জ্বলছে শুশুনিয়া পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা






















