Jadavpur University: ছাত্র মৃত্যুর পরেও ফেরেনি হুঁশ! ফের পাঁচিল টপকে যাদবপুরে বহিরাগত
JU Student Death: এক ছাত্রের মৃত্যুতে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। সামনে এসেছে সিসিটিভিহীন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে র্যাগিংয়ের মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
আবির দত্ত, কলকাতা: ছাত্র মৃত্যুর পরেও ফেরেনি হুঁশ। অবাধে ক্যাম্পাসের ভিতরে আনাগোনা বহিরাগতদের। একেবারে পাঁচিল টপকে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকল বহিরাগত। এমনই ছবি ধরা পড়ল এবিপি আনন্দের ক্যামেরায়।
ক্যাম্পাসের ভিতরে বহিরাগত: এক ছাত্রের মৃত্যুতে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। সামনে এসেছে সিসিটিভিহীন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে র্যাগিংয়ের মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পড়ুয়া মৃত্যুর সপ্তাহ ঘুরতে চললেও কতটা পরিবর্তন হয়েছে পরিস্থিতির? ছাত্র মৃত্যুর পর থেকে নিরাপত্তার কড়াকড়ি হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। বন্ধ রয়েছে গেট। পরিচয়পত্র দেখে তবেই ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যেই দেখা গেল এই ছবি। পাঁচিল টপকে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকল এক বহিরাগত। কে সে? কী তার পরিচয়? জিজ্ঞেস করতে জানা গেল, তার নাম সাগর। তার বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়লেও সেখানেই থাকে বলে দাবি করেছে ওই বহিরাগত।
রবীন্দ্রভবনের পাশে ওপেন এয়ার থিয়েটারের পাঁচিলের পাশ দিয়ে ফোনে কথা বলতে বলতে ঘুরছিল ওই বহিরাগত। এরপরই, পাঁচিল টপকে ক্যাম্পাসের ভিরে ঢুকে পড় সে। কিন্তু, কেন চুপিচুপি পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকলেন? কী কারণ? সে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। তবে হস্টেলেই থাকে সে। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী প্রদীপ পাত্র বলেন, "হস্টেলের ছাত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেই না।''এত বড় একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, ফের একবার যাদবপুরের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল এই ঘটনা।
যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রের মৃত্যু-তদন্তে ফের সহ-উপাচার্য ও ডিন অফ স্টুডেন্টসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে পুলিশ। হস্টেলে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম চললেও কেন উদাসীন কর্তৃপক্ষ? কেন সিসিটিভি নেই বা বসানো হয়নি বা রক্ষণাবেক্ষণ হত না? এ নিয়ে জানতেই ফের সহ-উপাচার্য, ডিন অফ স্টুডেন্টসকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার রাতে পুলিশ মেন হস্টেলে পৌঁছলে, তাদের ঢুকতে বাধা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যাদবপুরের মেন হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আবাসিকদের একাংশই। ছাত্রের মৃত্যুর পর একাধিক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই দিনে আবাসিকদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী ও দুই পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত সহ আরও অনেকে। বেশ কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: Weather Update: উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস, ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উপকূলের জেলায়