Jadavpur University: 'দোষীকে ফাঁসি দিয়ে আমার বুকের জ্বালা মেটান', মুখ্যমন্ত্রীকে করুণ আর্তি স্বপ্নদীপের বাবার
Jadavpur University Fresher Death: কাঁদতে কাঁদতে রামপ্রসাদবাবু বলেন, 'মমতাদি আমাকে ফোন করে বলেছিলেন ভাই তোমার বুকের সন্তানকে আমি ফিরিয়ে দিতে পারব না। তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি তোমাদের পাশে আমি আছি।'
অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: মা-বাবার কোল শূন্য করে স্বপ্নলোকে পাড়ি দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডু (Swapnadeep Kundu)। এই মৃত্যুতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। শুক্রবারই বাড়ি আসার কথা ছিল স্বপ্নদীপের। ছেলেকে আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল বাবা-মায়ের। ছেলে ফিরেছে ঠিকই, তবে নিথর দেহে।
ইতিমধ্যেই যাদবপুরের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বয়ান ও তথ্যে অসঙ্গতির জেরে পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। ছেলে হারিয়ে বিপর্যস্ত স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু জানান, সৌরভ চৌধুরী ছিলেন হস্টেলে সবার বাবা। ও-ই মূল কালপ্রিট।
এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এবিপি আনন্দকে কাঁদতে কাঁদতে রামপ্রসাদবাবু বলেন, 'পুলিশকে ধন্যবাদ যে ওঁকে গ্রেফতার করছে। তার আগে মমতাদি আমাকে ফোন করে বলেছিলেন ভাই তোমার বুকের সন্তানকে আমি ফিরিয়ে দিতে পারব না। তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি তোমাদের পাশে আমি আছি। কালপ্রিটদের শাস্তি আমি দেবই। এরই পদক্ষেপে এই অ্যারেস্টে আমি খুশি হয়েছি। দিদি যে কথা রেখেছে কিন্তু শান্তির। ওঁকে ফাঁসি দিয়ে এবার তোমার ভাইয়ের বুকের জ্বালা মেটাও।'
স্বপ্নদীপের বাবার কথায়, একা সৌরভ নন, আরও অনেকে থাকতে পারে এই ঘটনায়। তিনি বলেন, 'সেদিন কতবার চেষ্টা করছিলাম ওকে ফোনে ধরতে। রিং হলেও ফোন কেটে যাচ্ছিল। আমি আর ওঁর মা তখনই উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলাম। সন্তানদের খারাপ কিছু হলে বাবা-মা সবার আগেই কিন্তু বুঝতে পারে। আমাদের মনেও সেই অবস্থাই হয়েছিল।'
আরও পড়ুন, 'রাত যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে অত্যাচারের মাত্রা', ঠিক কী ঘটেছিল স্বপ্নদীপের মৃত্যুর আগে ?
ছেলে হারানোর কান্নায় বারবার ভেঙে পড়ছিলেন রামপ্রসাদ কুণ্ডু। এ শোকের ভাষা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছেলেদের হাতে তাঁর 'দীপ'কে তুলে দিয়ে এসেছিলেন, সেই দীপ যে ফিরবেন এভাবে তা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাবা।
প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয় পাস আউট হস্টেলে থেকে যায়? কেন ঘটনার দিন রাতে পুলিশকে বাধা দেওয়া হয়? কিছু চাপা দেওয়ার চেষ্টা? একজন প্রাক্তন পড়ুয়া, কেন তার হাত ধরে বাবাকে বলে যেতে হবে, ছেলেকে দিয়ে গেলাম, কেন প্রাক্তনীদের এত বাড়বাড়ন্ত? বছরের পর বছর ধরে র্যাগিংয়ের অভিযোগ, কবে বন্ধ হবে? আর কত পড়ুয়ার প্রাণ গেলে বন্ধ হবে র্যাগিং?