Jadavpur University: পরীক্ষার খাতায় এক, রেজাল্টে আর এক, যাদবপুরে নম্বর বিভ্রাট
Exam Marks: ১২ জন পরীক্ষার্থীর নম্বরে গরমিল নজরে এসেছে বলে দাবি করেছেন পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। যদিও ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি তিনি।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: খাতা দেখার পর যে নম্বর দেওয়া হয়েছিল, রেজাল্টে তা বদলে গেছে। এরকমই ১২ জন পরীক্ষার্থীর খাতায় নম্বরের রদবদল হয়েছে বলে, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার এক অধ্যাপক (Jadavpur University)। মার্কস এন্ট্রি করার সময়ে সমস্যা হয়েছে, জানালেন কর্তৃপক্ষ (Exam Marks)।
১২ জন পরীক্ষার্থীর নম্বরে গরমিল!
কোনও পরীক্ষার্থীকে খাতা দেখার সময় পরীক্ষক ৫০-এর মধ্যে দিয়েছিলেন ৪৩। রেজাল্ট বেরোতে দেখা গেছে নম্বর বেড়ে হয়ে গেছে ৪৪। কাউকে আবার পরীক্ষক দিয়েছিলেন ৩৯। কিন্তু, রেজাল্টে তা বেড়ে হয়েছে ৪৬ (JU Marks Controversy)।
পরীক্ষকের দেওয়া নম্বর না কি এভাবেই বদলে গিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের দাবি ঘিরে এখন জোর শোরগোল। পদার্থবিদ্যার এক অধ্যাপকের দাবি, একটি সেমেস্টারের পরীক্ষার খাতা দেখে তিনি যা নম্বর দিয়েছেন, তা পরে বদলে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তিনি যে পরীক্ষার্থীকে ৪৪ নম্বর দিয়েছিলেন, রেজাল্ট বেরোনোর সময় দেখা যায়, সেই নম্বর কমে হয়ে গেছে ৪২। আবার যাঁকে ৪৩ দিয়েছিলেন, তা কমে হয়েছে ৩৬।
এ রকম ১২ জন পরীক্ষার্থীর নম্বরে গরমিল নজরে এসেছে বলে দাবি করেছেন পদার্থবিদ্যার ওই অধ্যাপক। যদিও ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি তিনি। তাঁর তোলা চাঞ্চল্যকর অভিযোগের সত্যতা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পদার্থবিদ্যার ওই অধ্যাপক তাদের ই-মেল মারফৎ বিষয়টি জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুরে নম্বর বিভ্রাট
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য স্যমন্তক দাস বলেন, "শেষের দিকে আছে - উনি যোগাযোগ করেছিলেন, ইমেল করেছিলেন, সংশোধন করা হয়েছে। মার্কস এন্ট্রিতে ভুল ছিল। ৪০ জনের মধ্যে ১২ জনের হয়েছে। সংশোধন করা হয়েছে। চক্রান্তের সম্ভাবনা খুব কম, সংশোধন করা হয়েছে।" শেষ অবধি নম্বর বিভ্রান্তির অবসানে স্বস্তিতে পড়ুয়ারা।