Jadavpur University: 'যৌন নির্যাতনের শিকার যাদবপুর পড়ুয়া ! ফাঁসি হোক দোষীদের..', মন্তব্য কমিশনের
'যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল যাদবপুরের পড়ুয়াকে..', মৃতের বাড়িতে গিয়ে কী বলল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন ?
কলকাতা: যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যু তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল কমিশন (West Bengal Commission for Protection of Child Rights)। ইতিমধ্যেই যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে গ্রেফতার আরও দুই পড়ুয়া। আর এবার মৃতের বাড়িতে গিয়ে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের মন্তব্য, 'অমার্জনীয় অপরাধ,..অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।'
ওই মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাওয়ার পর রাজ্য কমিশন জানিয়েছে,'যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল যাদবপুরের পড়ুয়াকে। পরিবার জানিয়েছে, গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে। সমকামী বলে দাবি করে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছিল। অমার্জনীয় অপরাধ, আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।'
যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুতে (Jadavpur University) পদক্ষেপ করতে রাজ্যপালকে চিঠি রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের। রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) আচার্য করার বিল পাস হলেও, এখনও তাতে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। যে কারণে এখনও পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তিনিই (JU Student Death)। তাই তাঁকেই চিঠি দিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
শিশু কমিশনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজ্যপালকে রিপোর্ট পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। চিঠি পাঠানো হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও। বেআইনি ভাবে কত জন হস্টেলে রয়েছেন, জানতে চাওয়া হয়েছে লালবাজারের কাছে। জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হস্টেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।
রবিবার নদিয়ার রানাঘাটে ওই পড়ুয়ার মামার বাড়িতে যান রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। অনন্যা চট্টোপাধ্যায়-সহ কমিশনের সদস্যরা সেখানে কথা বলেন, মৃতের মা-বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে পরিবারের এই কথোপকথন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ তার পরই রাজ্যপালের কাছে চিঠি গেল। চিঠি গেল কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছেও।
আরও পড়ুন, দক্ষিণশ্বর মন্দিরে জেপি নাড্ডা
ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে এখনও পর্যন্ত উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মেন হস্টেলে গেস্ট হিসেবে মনোতোষ ঘোষের ঘরে থাকলেও, অন্য একটি ঘরে চলেছিল তাঁর পরিচয়-পর্ব। হস্টেলে ঢোকার দিন সেই আলাপ-পর্ব শুরু হয় রাত ১০টা বেজে ১০ মিনিট থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মনোতোষ, দীপশেখর ঘোষের মতো পড়ুয়ারা এবং প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী-সহ আরও কয়েক জন।