Phd from Jail: শিলদা মামলায় কারাদণ্ড! জেলে থেকেই Ph.D প্রস্তুতি মাওবাদী নেতার
Jailed Maoist Leader: একসময়ে খড়গপুর IIT-তে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন অর্ণব। মাঝপথে তা ছেড়ে দেন।
কমলকৃষ্ণ দে ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়: শিলদা EFR ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড পেয়েছিলেন অর্ণব দাম। এবার জেলে থেকেই PhD করার জন্য় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে মৌখিক ইন্টারভিউ দিলেন তিনি।
১৪ বছর আগে, শিলদা EFR ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় মৃত্য়ু হয়েছিল ২৪ জন EFR জওয়ানের। সেই ঘটনায়, ২৩ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তর মধ্য়ে একজন মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রম। তিনি এখন জেল থেকেই PhD করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বুধবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ইন্টারভিউ দিলেন তিনি। হুগলি জেল থেকে পুলিশি পাহারায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয় তাঁকে।
২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি- শিলদা EFR ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে, সেই ঘটনায় ২৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এর মধ্য়ে ছিলেন মাওবাদী নেতা বিক্রম অর্থাৎ অর্ণব দামও। বর্তমানে হুগলি জেলে বন্দি তিনি।
একসময়ে খড়গপুর IIT-তে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন অর্ণব। তবে মাঝপথেই তা ছেড়ে দেন। সম্প্রতি জেল থেকে SET-এ উত্তীর্ণ হওয়ার পর PhD-র ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন অর্ণব। অনুরোধের প্রেক্ষিতে জেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনাও করতে বলে আদালত। অর্ণবের অভিযোগ, জেল কর্তৃপক্ষের তরফে সেই আবেদনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যার জেরে তিনি অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দেন।
অবশেষে, জেল কর্তৃপক্ষের সাহায্য়ের আবেদন জানানো হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, নিয়ম মেনে PhD করতে পারেন জেলবন্দি মাওবাদী নেতা। বুধবার তাঁকে সরাসরি ইন্টারভিউয়ের জন্য় ডাকা হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের কলা বিভাগের সচিব ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, 'আমাদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। আমরা বলেছি শিক্ষায় কোনও সমস্য়া নেই। জেলের সাহায্য়ে করতেই পারে।'
হুগলি জেল সূত্রে খবর, সেখানে লাইব্রেরি আছে। সেখান থেকে বই নিয়ে পড়াশোনা করেন অর্নব। ইন্টারভিউতে পাস করলে ইতিহাসে গবেষণা করবেন তিনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।