Jakir Hossain:'এভাবে চললে ব্য়বসা বন্ধ করে দিতে হবে,' কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে প্রতিক্রিয়া জাকির হোসেনের
Jakir Hossain Reaction On Money Raid: মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বাড়ি, অফিস ও কারখানা থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করল আয়কর দফতর।
মুর্শিদাবাদ: এবার তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে কুবেরের ধনের হদিশ মিলল। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বাড়ি, অফিস ও কারখানা থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করল আয়কর দফতর (Income Tax Department)। এপ্রসঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, "শ্রমিক ও আমার স্ত্রী-ছেলের যৎসামান্য টাকা বাড়ি থেকে পেয়েছে আয়কর দফতর। চালকলে চাষিদের কাছ থেকে নগদে ধান কেনার টাকা রাখা ছিল, সেটাই বাজেয়াপ্ত করেছে। এভাবে চললে ব্য়বসা বন্ধ করে দিতে হবে।'' প্রতিক্রিয়া তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের।
প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে কুবেরের ধনের হদিশ: এবার তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে কুবেরের ধনের হদিশ মিলল। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস ও কারখানা থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করল আয়কর দফতর। গতকাল দিল্লি, কলকাতা, মুর্শিদাবাদে অভিযান চালান আয়কর দফতরের অফিসাররা। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ৩টি জায়গা থেকে এ পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস, কারখানা ও গুদাম থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১১ কোটি টাকা। তৃণমূল বিধায়কের একটি অফিস থেকেই ৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এত টাকা কোথা থেকে এল? এভাবে নগদ টাকা কেন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল? সবই খতিয়ে দেখছে আয়কর দফতর। এদিন জাকির হোসেন বলেন, '৭ হাজার শ্রমিক এখানে কাজ করেন। তাঁদের বেতন নগদেই দিতে হয়। রাইস মিলেও তল্লাশি হয়েছে। চাষের জায়গায় সব নগদে কারবার হয়। তাই বাড়িতে বাধ্য হয়ে টাকা রাখতে হয়। এরপর টাকা না পেলে আবার চাষিরা না বিক্ষোভে যান।'
জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, তাঁর ম্যানেজারের বাড়ি, বিধায়কের চালকল, তেলকল, জুটমিল সহ মোট ২৮ জায়গায় একসঙ্গে হানা দেয় আয়কর দফতর। যারপর একযোগে শুরু হয় তল্লাশি। যে তল্লাশিতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয় 'কুবেরের ধন'। কিন্তু এই টাকা আসলে কার, সেই উত্তর মেলেনি এখনও। ইতিমধ্যে যে টাকা উদ্ধার হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোরও। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির ইস্যুর কথা মনে করিয়ে বিরোধী শিবির দায় চাপিয়েছে শাসকদল তথা তৃণমূলের বিধায়কের দিকেই। পাল্টা বেছে বেছে রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে বলেই সুর চড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির। সবমিলিয়ে উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা কার, সেই খোঁজ নিয়ে যেমন চলছে তল্লাশি। তেমনই পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে রাজ্যের আরও এক বিধায়কের বাড়ি-অফিস থেকে কুবেরের ধন উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক টানাপোড়েনও।