Jalpaiguri News: কেরল থেকে কফিন বন্দি দেহ ফিরল শিলিগুড়িতে, ফের ভিনরাজ্যে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের
Jalpaiguri Migrant Worker's Death: ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল পরিযায়ী শ্রমিকের, মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া এলাকায়।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: কোভিড পরিস্থিতিতে একের পর এক মর্মান্তিক খবর এসেছিল রাজ্যে। একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজের আশায় গিয়ে সেসময় ভোগান্তির মুখোমুখী হয়েছিল। কিন্তু সে তো অতীত। কোভিড পরিস্থিতিও এখন নেই। তবে কাজের ঘাটতি যে এখনও রয়েছে, সেই বিতর্কিত প্রসঙ্গই আবার সামনে এল। ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Worker)।
আজ সকালে শেষবারের মতো কফিনবন্দি হয়ে যুবকের দেহ ফিরল গ্রামে। নিজেদের রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই, তাই ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে উত্তর বাংলার ছেলেদের বেঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে দাবি এলাকাবাসীর। স্কুলের গণ্ডি পেরোতে না পেরেতেই সংসারের ঘানি টানতে গত সাত মাস আগে কাজের সন্ধানে ২৫ বছরের যুবক পার্থ রাভাকে কেরলে যেতে হয়েছিল কাজের সন্ধানে। সেখানে বেসরকারি কোম্পানিতে মাইন ব্লাস্টিং-এর কাজে যোগ দেয়।
গত ১৯ জুলাই সেই মাইন ব্লাস্টিং-এর কাজে গিয়েই প্রাণ হারাতে হল বানারহাট ব্লকের মোরাঘাট রেঞ্জের রাভা বনবস্তির যুবক পার্থ রাভাকে। কেরল থেকে আকাশ পথে শিলিগুড়ি ও তারপরে অ্যাম্বুলেন্স করে নিজের বাড়িতে মৃতদেহ বনবস্তির বাড়িতে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া এলাকায়। পার্থকে শেষ দেখা দেখতে পার্শ্ববর্তী বনবস্তির রাভা সম্প্রদায়ের মানুষের ঢল নামে। এদিন রাভা সম্প্রদায়ের বিশেষ রীতি অনুযায়ী, পার্থর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেও এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল রাজ্য। অরুণাচলপ্রদেশে কাজে গিয়ে মৃত্য়ু হয়েছিল কোলাঘাটের বাসিন্দা, ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের। সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছিল, প্রচণ্ড ঠান্ডায় ঘরের ভিতর আগুন জ্বালিয়েছিলেন তাঁরা। তাতেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্য়ু হয়েছিল। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ মৃতদের পরিবার। নেপথ্যে অন্য় কোনও কারণ ছিল বলে তাঁদের আশঙ্কা। কোলাঘাট থানায় মৌখিক অভিযোগ দায়ের। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের পর মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট। পেটের জ্বালায় ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলার শ্রমিক।
আরও পড়ুন, 'অভিষেকের BJP নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-র ডাক প্ররোচনামূলক', থানায় অভিযোগ দায়ের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল (TMC)। তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেসময় মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, এবার তাঁর অন্যতম লক্ষ হবে 'কর্মসংস্থান।' বলাইবাহুল্য এরপর পরই মানুষ দেখেছিল বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS)। যেখানে কর্মসংস্থান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অনেকেই। নির্বাচন প্রচারের শুরুতেও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে শোনা গিয়েছিল, 'উত্তরবঙ্গে তৈরি হবে অর্থনৈতিক করিডর। রাজ্যেই কর্মসংস্থান (Employment) হবে, বাইরে যাওয়ার দরকার নেই।'