![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Jalpaiguri News: টিকা নিলেই হাতে দেওয়া হচ্ছে সিলমোহর! বিতর্কে জলপাইগুড়ির সরকারি স্কুল
এদিন প্রথমে আধারকার্ড দেখে ছাত্রীদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। তারপর রাবার স্ট্যাম্প দিয়ে ছাত্রীদের হাতে লাগানো হয় স্কুলের সিলমোহর। তারপর অন্য ক্লাসরুমে নিয়ে গিয়ে টিকা দেওয়া হয় তাদের।
![Jalpaiguri News: টিকা নিলেই হাতে দেওয়া হচ্ছে সিলমোহর! বিতর্কে জলপাইগুড়ির সরকারি স্কুল Jalpaiguri News: Jalpaiguri Student Vaccination Stamp Controversy Jalpaiguri News: টিকা নিলেই হাতে দেওয়া হচ্ছে সিলমোহর! বিতর্কে জলপাইগুড়ির সরকারি স্কুল](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/03/21/63d0e0957d1bc035161c8a9b3d573000_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রাজ্যে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের (Vaccination) প্রথম দিনেই জলপাইগুড়িতে বিতর্ক। করোনার টিকা দেওয়ার আগে ছাত্রীদের হাতে স্কুলের সিলমোহর লাগানো নিয়ে ক্ষোভ। একে অপরের দিকে দায় ঠেলেছে পুরসভা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের নির্দেশে ছাত্রীদের হাতে সিলমোহর দেওয়া বন্ধ হয়।
ছাত্রীর হাতে স্কুলের সিলমোহর দিয়ে টিকা। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল জলপাইগুড়ি শহরে। সোমবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের করোনা প্রতিরোধক টিকাকরণ। সেই মতো বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। জলপাইগুড়ি শহরের রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়েও সেই আয়োজন করা হয়েছে।
এদিন প্রথমে আধারকার্ড দেখে ছাত্রীদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। তারপর রাবার স্ট্যাম্প দিয়ে ছাত্রীদের হাতে লাগানো হয় স্কুলের সিলমোহর। তারপর অন্য ক্লাসরুমে নিয়ে গিয়ে টিকা দেওয়া হয় তাদের। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। এক অভিভাবক বাসুদেব বিশ্বাসের কথায়, “আমাদের কেউ জানায়নি। ভিতরে ভ্যাকসিনেশন চলছিল। সিল দেওয়া হচ্ছিল জানতে পারিনি।‘’ স্কুল সূত্রে খবর, ৮ জন ছাত্রীর হাতে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছে যান জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল ও ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরকর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ছাত্রীদের হাতে সিলমোহর দিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা সাহা বলেন, “পুরসভা থেকে আমাদের বলেছিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য সিলটা ব্যবহার করুন। তারপর আমরা ভ্যাকসিন দেব। যাতে কনফার্ম হতে পারি ভ্যাকসিন দরকার আছে। পরে ডিএম অফিস থেকে নির্দেশ আসে সিল দেওয়ার দরকার নেই। যে কোনও একটা টিকমার্ক রাখলেই হবে।‘’ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি, “এরকম কোনও নির্দেশ আমরা দিইনি। সিল মারার পক্ষে পুরসভা নয়। আমরা নিজে গিয়ে কথা বলি। অভিভাবকরা অভিযোগ করেছিলেন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই প্রক্রিয়া।‘’ শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় সিলমোহর দেওয়া। তার পরিবর্তে কারা কারা টিকা পাবে তা চিহ্নিত করতে, ছাত্রীদের আঙুলে লাল মার্কার দিয়ে দাগ দেওয়া হয়।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)