Jhalda Murder Update: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার মূল চক্রী
ধৃতের নাম কোলেবার সিংহ। খুনের পরিকল্পনা করে কোলেবার, ধারণা পুলিশের। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ঝালদা: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councilor) খুনে গ্রেফতার মূল চক্রী। বোকারো থেকে গ্রেফতার তপন কান্দু খুনে মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম কোলেবার সিংহ। খুনের পরিকল্পনা করে কোলেবার, ধারণা পুলিশের। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ: ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুরুলিয়া আদালত। তপন কান্দুকে বাইকে এসে তিনজন গুলি চালিয়ে খুন করেছিল। তাঁদের মধ্যে একজন গ্রেফতার, কোলেবার ভাড়াটে খুনি। কোলেবারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। সূত্রের খবর জানতে চাওয়া হবে, “শুধু কোলেবার গুলি চালিয়েছিল নাকি বাকি দুজন গুলি চালিয়েছিল ?’’
তপন কান্দু খুন: গত ১৩ মার্চ গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu)। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে SIT গঠন করেছে রাজ্য সরকার। পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। এবার এই ইস্যুতে দ্রুত শুনানি চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল। মামলাকারীর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, “বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে বলেন, কাউন্সিলর খুনের ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তথ্য প্রমাণ লোপাট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এবিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব শুনানি হওয়া দরকার। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে।‘’ কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলার শুনানি হবে আজ শুক্রবার। এদিনই সিটকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে পুরুলিয়ার ঝালদা থানার IC সঞ্জীব ঘোষে’র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে IC’কে। এখন থেকে থানার কাজ দেখভাল করবেন ঝালদার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুব্রত দেব। গত ১৩ মার্চ, বিকেলে খুন হন ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এরপরই এই ঘটনায় নাম জড়ায় ঝালদা থানার IC সঞ্জীব ঘোষে’র।
কয়েক দিন আগে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এনে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দু অভিযোগ করেন, খুন হওয়ার আগে তাঁর কাকাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেন আইসি। সেই ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। এই প্রেক্ষাপটে পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে IC’কে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত থানার কাজ পরিচালনা করবেন SDPO সুব্রত দেব। এদিকে তপন কান্দু খুনের ঘটনায় এর আগে এক ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Kolkata News: সল্টলেকে স্পা ব্যবসার আড়ালে মধুচক্র! চাকরি করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার তরুণী