(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mamata Banerjee: কিঞ্জলের কোন দাবির সঙ্গে সহমত হলেন মুখ্যমন্ত্রী? এরপরই দিলেন কড়া বার্তা
Junior Doctors Nabanna Meeting: চাপের মুখে এই সিদ্ধান্তর প্রসঙ্গই নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
কলকাতা: থ্রেট কালচারের অভিযোগে, হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের ৮ পড়ুয়াকে। এবার পাল্টা প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন সেই বহিষ্কৃত পড়ুয়ারাই।
শেষ অবধি বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে কার্যত নতি স্বীকার করল ডায়মন্ড হারবার মেডিক্য়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ। যে ৮ জুনিয়র ডাক্তারকে 'থ্রেট কালচারের' অভিযোগে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হল। আর চাপের মুখে এই সিদ্ধান্তর প্রসঙ্গই নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, 'ডায়মন্ড হারবারে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের ঘরে তালা দিয়েছে। আর জি কর মেডিক্যালে হামলায় অভিযুক্তরা সবাই জামিনে মুক্ত, কীভাবে?' মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরকারের অবস্থান জানতে চাইল জুনিয়র ডাক্তাররা। শুধু তাই নয়, সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। 'যৌন হেনস্থা থেকে চাঁদা আদায়, হেনস্থা--থ্রেট কালচারে কিছুই বাকি নেই। অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে না, বলার জায়গাও নেই। অধ্যক্ষের ঘরে তালা, তাহলে কোথায় সুরক্ষা?
আরও পড়ুন , স্বাস্থ্য সচিবকে 'অভিযুক্ত' বলতেই 'মুখ খুললেন' মমতা! সঙ্গে সঙ্গেই জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ডায়মণ্ড হারবারের যে কথা আপনারা বললেন সেটা এর আগেও অনেক জায়গায় হয়েছে। এই আন্দোলন চলাকালীন আমি টিভিতে দেখেছি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে হয়েছে। সেখানে এক চিকিৎসককে চাপ দিয়ে ইস্তফা দেওয়ানো হয়েছে। এটাও তো থ্রেট কালচার। কিঞ্জলের কথার সঙ্গে আমি সহমত। হাসপাতালে সুস্থ, স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।'
যদিও ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্ন বলেছেন, কলেজে অনেক দিন ধরে আর্থিক দুর্নীতি, আর্থিক তছরুপ। টেন্ডার ছাড়া কোটি কোটি টাকা, সেটা কী করে পায়? আমরা তার তদন্ত চাই। ব্লাড ব্য়াঙ্ক থেকে ব্লাড চুরি হয়েছে। এ বয়াপারে কোনওদিন তদন্ত হয়নি। কর্তৃপক্ষ সদুত্তর দিতে না পারলে প্রিন্সিপালকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবেন, পাল্টা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে