(Source: ECI | ABP NEWS)
Kali Puja 2025: কথিত আছে এখানেই পড়েছিল দেবীর কাঁকাল ! মহা ধুমধামের সঙ্গে পুজো হচ্ছে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম বীরভূমের কঙ্কালীতলায়
Kali Puja 2025 At Birbhum Kankalitala : ৫১ সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ বীরভূমের কঙ্কালীতলা, কথিত আছে..

বীরভূম: ৫১ সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ বীরভূমের কঙ্কালীতলা। কথিত আছে লাল মাটির এই অঞ্চলেই পড়েছিল দেবীর কাঁকাল অর্থাৎ কোমরের অংশ। রীতিনীতি মেনে প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই কুমারী পুজো চলে আসছে কঙ্কালিতলায়। সকাল থেকেই মহা ধুমধামের সঙ্গে এই পুজো পালিত হয় মায়ের সতীপীঠে, ভক্ত সমাগমের ভিড়।
আরও পড়ুন, গায়ে গয়না, পরনে বেনারসি, কালী মন্ত্রে দেবী জ্ঞানে নিম গাছকেই পুজো করা হয় কাটোয়ায় !
আজ কালীপুজো। শক্তির আরাধনা। দিকে দিকে সাড়ম্বরে পূজিতা হবেন মা। সতীপীঠ থেকে সিদ্ধপীঠ, দেবী বন্দনায় মেতে উঠবে সমগ্র বাংলা। জগতে কল্যাণ এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন। তিনি অসুখ বিনাশিনী। মহা শক্তিধর শুম্ভ-নিশুম্ভের হাত থেকে ত্রিলোককে রক্ষা করতেই দেবীর সৃষ্টি। নরমুণ্ডই দেবীর অলঙ্কার। যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতিদের মুণ্ডের মালা মা কালীর কণ্ঠের শোভা। বলা হয়, পঞ্চাশটি মুণ্ডের এই মালা আসলে জ্ঞানের প্রতীক। যে সেনাপতি তাঁর চুল ধরে অপমান করেছিল, তাঁর মুণ্ড দেবী হাতে ধরে থাকেন। মৃত সেনাপতিদের হাতের পাতা দেবী কোমরে ধারণ করেন। শাস্ত্রমতে এই করতলও জ্ঞানের প্রতীক। ভুল করে স্বামী মহাদেবের গায়ে পা তুলে ফেলায় লজ্জিতা রণে উন্মত্ত দেবী।
তারাপীঠে শক্তির আরাধনা। রীতি মেনে পুজো। আলোর মালায় সেজেছে গোটা মন্দির।পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ঠাসা মন্দির চত্বর। ভোর থেকে শুরু হয়েছে মাতৃ আরাধনা। জবা, নীলকণ্ঠ, পদ্মে সেজে উঠেছেন মা তারা। মঙ্গলারতির পর হবে নিত্যপুজো।নিয়ম মেনে পুজো হচ্ছে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরেও। জনশ্রুতি, সতীর দেহাংশের মধ্যে বাম গুল্ফ বা বাম পায়ের গোড়ালি পড়েছিল এখানে। এখানে শোল মাছের ভোগ দেওয়া হয় দেবীকে।
গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে প্রতিবারের মতো এবারও মায়ের সাড়ম্বর আরাধনা। মন্দিরে ভক্তদের ঢল। নীলাচল পাহাড়ের কোলে ব্রহ্মপুত্রের তীরে এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনী। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম কামাখ্যা। কথিত আছে, এখানে সতীর যোনি পড়েছিল। ১৬৬৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ নীলাচল পাহাড়ের কোলে এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। মা এখানে দশমহাবিদ্যা রূপে পূজিত। দীপাবলিতে, মাকে মহাস্নান করিয়ে, ষোড়শপচারে ভোগ নিবেদন করা হয়। এরপর হয় মহা বলিদান। মাছ ভোগ ও বলিদানের মহাপ্রসাদ ভোগও নিবেদন করা হয় মাকে। কালীপুজোর দিনই এখানে লক্ষ্মী ও কুবেরের পুজো হয়। কথিত আছে, বশিষ্ঠ মুনি এক সময় এই কামাখ্যাতে তপস্য়া করেছিলেন। কলিযুগের স্বর্গ বলা হয় মা কামাখ্যার মন্দিরকে।























