Kalipuja 2025: কালীপুজোর মণ্ডপে বক্স বাজাতে অস্বীকার, সোনারপুরে যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ! আটক মৃতের প্রতিবেশী ও তাঁর স্ত্রী
Sonarpur News: মৃতের নাম সনাতন নস্কর। পাড়ার কালী পুজোয় নিজের বাড়ির সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন সনাতন। রাত ১০টা নাগাদ সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করে বাড়ি নিয়ে যান তিনি।

রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : কালীপুজোর মণ্ডপে বক্স বাজাতে অস্বীকার, যুবককে 'কুপিয়ে খুন'। যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। সোনারপুর থানার কুস্টিয়া এলাকার ঘটনা। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী ও তাঁর স্ত্রী। মৃতের নাম সনাতন নস্কর।
পাড়ার কালী পুজোয় নিজের বাড়ির সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন সনাতন। রাত ১০টা নাগাদ সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করে বাড়ি নিয়ে যান তিনি। এক প্রতিবেশী অসুস্থ থাকায় বক্স চালানোয় তাঁর অসুবিধা হয়। সেই কারণেই সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করে নিয়ে যান সনাতন। তারপরই তাঁর বাড়িতে চড়াও হন চার প্রতিবেশী। চড়াও হন পিন্টু সাহা নামে এক প্রতিবেশী ও তাঁর স্ত্রী। সনাতনের বাড়িতে চড়াও হন পিন্টুর শ্যালক ও তাঁর স্ত্রীও। সনাতনের মা ও ভাইকে মারধর করা হয়। প্রতিবাদ করলে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় সনাতনকে, দাবি পরিবারের। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সনাতনকে। হাসপাতালেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পিন্টু সাহা ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোনারপুর থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।
পাড়ায় এক ব্যক্তি অসুস্থ ছিলেন। সেই জন্যই রাত ১০ টার পর কালীপুজোর মণ্ডপে আর বক্স বাজাতে চাননি সনাতন নস্কর। পাড়ার পুজোয় বাজানোর জন্য নিজের বাড়ির সাউন্ড বক্সই দিয়েছিলেন এই যুবক। রাত ১০টার পর বক্স খুলে নিয়ে যান তিনি। এরপরেই সনাতনের বাড়িতে চড়াও হন প্রতিবেশী পিন্টু, তাঁর স্ত্রী, শ্যালক এবং তাঁর স্ত্রী। গান বন্ধ করায় তেড়ে আসেন সবাই মিলে। সনাতনের মা তাঁদের বাড়ি চলে যেতে বলেন। এত রাতে গান চালালে লোকের ঘুমাতে অসুবিধা হবে, বুঝিয়ে সেকথাও বলেন তিনি। কিন্তু এসব কথায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বচসা তুঙ্গে ওঠে। চড়াও হওয়া প্রতিবেশীরা সনাতনের মা এবং ভাইকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগ, ছুরি নিয়ে ছুটে আসেন পিন্টু। আঘাত করে সনাতনকে। ততক্ষণে আশপাশের অনেকেই ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ছুরির আঘাত এতই গভীর ছিল যে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি সনাতন নস্করকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রাতেই এলাকায় যায় সোনারপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত পিন্টু এবং তার স্ত্রীকে।






















