Kanchanjungha Train Accident: ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ছেলে, 'সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক', কান্নাভেজা চোখে আশা মায়ের
Kanchenjunga Train Accident: সোমবার সকালেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।অন্যান্যদের সঙ্গে গুরুতর চোট পান দুই যুবক। কিন্তু তরতাজা দুই যুবক সেই অবস্থাতেও অন্যদের উদ্ধারে এগিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
সোমনাথ মিত্র, হুগলি: কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব শেষ। কার ভুল, কী ভুল সে প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ চলছে। কিন্তু ভুলের জেরে যে প্রাণ গেল, তা গেলই। প্রাণহানির পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকেই। প্রাণসংশয়ও রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে 'ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক', বলতে বলতে হাত দিয়ে চোখের জল মুছলেন মা। উত্তরবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শব্দশক্তি হারিয়েছেন মা বন্দনা সাহা। কারণ, ছেলে এখনও গুরুতর অবস্থায় ভর্তি উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে।
মেশিনে ধান কাটার কাজে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন হুগলির ধনিয়াখালি ব্লকের মদনমোহন তলার দুই যুবক সৌনক সাহা ও তন্ময় ঘোষ। পাশাপাশি পাড়ায় তাদের বসবাস। সৌনক কয়েকবছর ধান কাটার কাজে বাইরে গেলেও তন্ময় এবারে প্রথম এই কাজে উত্তরবঙ্গ যায়। ধান কাটার মেশিনে করেই যাওয়া এবং তাতেই বাড়ি ফিরে আসে তারা। কিন্তু ভাগ্যে এবার অদ্ভূত পরিহাস। এবারে মেশিন ফিরতে দেরি হবে জেনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় বাড়ি ফিরছিল ধনিয়াখালির দুই যুবক।
সোমবার সকালেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। অন্যান্যদের সঙ্গে গুরুতর চোট পান দুই যুবক। কিন্তু তরতাজা দুই যুবক সেই অবস্থাতেও অন্যদের উদ্ধারে এগিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সঙ্গে গতকাল থেকে দু তিনবার কথা হলেও গভীর উদ্বিগ্নে দিন কাটছে দুটি পরিবারের সদস্যরা। সুস্থ হয়ে ঘরের ছেলে কবে ঘরে ফিরে আসবে তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার প্রতিবেশীরাও।
সৌনক সাহার বাবা প্রদীপ সাহা বলেন, ছেলে ধান কাটতে গিয়েছিল চার মাস আগে। ওখান থেকে ফেরার পথে এই দূর্ঘটনা। দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি কেমন হয়ে গিয়েছিলাম। ওরা ধান কাটার গাড়িতেই ফেরে। এবারে দেরি হবে বলেই ট্রেনে ফিরছিল। এখন ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুক এটাই চাই।
আহত তন্ময় ঘোষের মা বাসন্তী ঘোষ বলেন, ফোনে কথা হয়েছে ছেলের সঙ্গে। শিলিগুড়িতে হাসপাতালে ভর্তি। বলেছে ভালো আছে। শরীরের একাধিক জায়গায় লেগেছে। ব্যান্ডেজ করা। ঘটনা শোনার পর খুবই ভয় লেগেছিল।
যুবকের আহত হবার ঘটনায় সমব্যাথী এলাকা বিধায়ক অসীমা পাত্র। মুখ্যমন্ত্রীর থেকে ফোন পেয়ে আহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিধায়ক জানান, এলাকার দুই যুবক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পাওয়া মাত্রেই আমি তাদের বাড়ি গিয়েছিলাম। পরিবারের পাশে আমরা আছি। বাড়ি ফেরানোর জন্য এবং পরবর্তী চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকার সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে