Kasba Rape Case: কসবাকাণ্ডে রিপোর্ট পেশ বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিমের, কী সুপারিশ?
Kolkata News: কসবাকাণ্ডের তদন্তভার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে জে পি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিম।

কলকাতা: জে পি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়ে কসবাকাণ্ডের তদন্তভার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার সুপারিশ করল বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিম। আইন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি, তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবিও তুলেছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।
কসবাকাণ্ডের তদন্তভার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে জে পি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিম। টিমের সদস্য সত্যপাল সিংহ বলেন, "একটি উচ্চ পর্যায়ে স্বাধীন কমিটি অথবা কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে এই গণধর্ষণের মামলার তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে হবে ঠিক কোন কারণে অভিযোগপত্র থেকে মূল অভিযুক্তদের নাম মুছে ফেলা হয়েছে এবং ঠিক কী কারণে নির্যাতিতার অভিযোগপত্রও হাতে লেখা হয়েছে, তারও জবাবদিহি করতে হবে। তবে কি মূল অভিযুক্তদের আড়াল করতেই এই কাজ করা হয়েছে?''
বাংলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ নিতেও আর্জি জানিয়েছে বিজেপির ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিম। অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে কলেজের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছিল কসবার আইন কলেজের পরিচালন সমিতি। যার মাথায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়েছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য বিপ্লব দেব বলেন, "এত মামলায় অভিযুক্ত থাকা সত্ত্বেও একে(মনোজিৎ মিশ্র) কাজে রাখা হয়েছে। তাহলে পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক দেবকে কেন তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে না? রাজ্যে ঘটে যাওয়া সমস্ত গুন্ডামি-ধর্ষণের ঘটনা একেবারে স্টেট স্পনসর্ড। এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার নিয়ে এক্ষুনি পদত্যাগ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিজের রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে অক্ষম হলে, এই আসনে থাকার কোনও অধিকার নেই তাঁর।''
এদিকে কসবাকাণ্ডের আবহে ৫০ জনের ছবি ও নাম প্রকাশ করে ভাইপো গ্য়াং আখ্য়া দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "কলেজকে কন্ট্রোল করে। গভর্নিং বডিকে কন্ট্রোল করে। কলেজে যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়, তার টেন্ডারকে কন্ট্রোল করে। কলেজের ভর্তি কন্ট্রোল করে। সেখান থেকে টাকা তোলে। স্টুডেন্টস ইউনিয়নের যে ফান্ড ওঠে সেই ফান্ডটা এরা কন্ট্রোল করে।''























