Kashmir Terror Attack: কাশ্মীরে থেকেই কলমা পড়ার অভ্যাস, প্রাণ হাতে বাড়ি ফিরলেন বালির বাসিন্দা
Howrah News: বৈসারন ভ্যালিতে যাননি, কিন্তু আতঙ্কে কালেমা পড়া অভ্যাস করেছিলেন হাওড়ার বালির বাসিন্দা ব্যবসায়ী অরুণ দাস।

ভাস্কর ঘোষ, হাওড়া: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে ২৬ জনের। এক নিমেষে বদলে গিয়েছে ভূ-স্বর্গের ছবিটা। আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে এখনও। অভিযুক্ত জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। কাশ্মীর থেকে যাঁরা প্রাণ হাতে ফিরেছেন এখনও চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। বৈসরন ভ্যালিতে না গিয়েই ফিরছে অনেক পরিবার।
আগে ধর্মীয় পরিচয় জেনে, তারপর বেছে বেছে পর্যটকদের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে জঙ্গিরা। কাউকে কলমা পড়তে বলা হয়েছে, না পারায় পরপর তিনটি গুলি করা হয়েছে। আবার কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে ধর্ম। এই আবহে আতঙ্কে কলমা পড়া অভ্যাস করেছিলেন হাওড়ার বালির বাসিন্দা ব্যবসায়ী অরুণ দাস। যদিও বৈসরন ভ্যালিতে যাননি তিনি। আতঙ্কের প্রহর কাটিয়ে কাশ্মীর থেকে বাড়ি ফিরে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন। ১৬ এপ্রিল বালির পাঠকপাড়ার ব্যবসায়ী স্ত্রী, ছেলেমেয়েকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গেছিলেন। শ্রীনগর ঘুরে ২২ তারিখ তাঁদের বৈসারন ভ্যালিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বানের কারণে রামবানে ধস নামায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর বৈসারনে যাওয়া হয়নি। বিকল্প রাস্তা ধরে ফেরার সময় প্রতি মুহূর্তে তাড়া করেছে আতঙ্ক। রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর দেখা মেলেনি বলে বালির বাঙালি পর্যটকদের দাবি। প্রায় ২২ ঘণ্টা পর তাঁরা কাটরা শহরে পৌঁছন। গতকাল বালির বাড়িতে ফিরলেও এখনও চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
পহেলগাঁওয়ের অদূরে সুইৎজারল্য়ান্ড অফ কাশ্মীর বলে পরিচিত বৈসরনে জঙ্গি হামলার ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে দেশজুড়ে। হাড় হিম করা জঙ্গি হামলায় বাংলার তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই বাংলায় কাশ্মীর থেকে প্রাণ হাতে করে ফিরেছেন এক পর্যটক। অরুণ দাস জানান, "৪ দিন শ্রীনগরে ছিলাম। পহেলগাঁওতে গেছি ঘটনার আগের দিন। সাইড সিন করতে গেছি। বৈসরনেও যাওয়ার কথা ছিল। ৩টে নাগাদ গাড়িগুলো আটকে গেল। রাতদিন সবই আতঙ্কেই কাটানো।''
এদিকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় তদন্তভার নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA. এর আগে, পহেলগাঁওয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন NIA-এর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, ক্রাইম সিনের নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি, কীভাবে জঙ্গিরা ঢুকেছিল এবং অপারেশন চালিয়ে বেরিয়ে গেল, তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। রীতিমতো ক্যাম্প বসিয়ে NIA-এর সন্ত্রাসদমন শাখার IG, DIG and SP পদমর্যাদার অফিসারদের নিয়ে দল তৈরি করে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেওয়া হচ্ছে। জঙ্গিরা কোন পথে বৈসারন ভ্যালিতে ঢুকেছিল এবং অপারেশন সেরে কোন রাস্তা দিয়ে পালিয়ে গেল, সেই এন্ট্রি-এক্সিট পয়েন্ট পরীক্ষা করে দেখছে NIA.






















