Kolkata Metro Viral Video : 'প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া আইনে অপরাধ?''আইফেল টাওয়ারের সামনে খেলে?' মেট্রোস্টেশনে চুমু বিতর্কে কে কী বলছেন?
'মেট্রো স্টেশনে এক যুগল একে অপরকে চুমু খেয়েছে, এতে আপত্তি করার কারণ কী?' যুক্তির পাল্টা, '৫০ ঘা লাঠির বাড়ি দিতে পারত।'
কলকাতা : বছর কয়েক আগে কলকাতা মেট্রোর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, যার মধ্য়ে লেখাছিল, মেট্রো স্টেশন ও ট্রেনের মধ্যে দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে। আলিঙ্গন করা যাবে না। চুমু খাওয়া যাবে না। হ্যান্ডশেক করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। তবে সেটা ছিল কোভিড কাল। তখন এমন নির্দেশিকা শুধু মেট্রোরেল নয়, অনেক পাবলিক প্লেসেই ছিল। কিন্তু এখন তো কোভিড কালের বিধি আর নেই ! তাই মেট্রো স্টেশনে লোকে লোকারণ্য থাকলেও মাস্ক বা দূরত্বের কথা মাথায় থাকে না। তবে এবার মেট্রো স্টেশনের একটি ঘটনা এক্কেবারে সাইক্লোনের গতিতে ভাইরাল হল।
কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে পিলারের পাশে দাঁড়িয়ে এক যুগলের চুম্বনের ভিডিও ( ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ ) মোটামুটি দেখে ফেলেছেন প্রত্যেকেই। আর তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে জোর তরজা। মেট্রো স্টেশনে চুমু খাওয়া কি ঠিক , নাকি ঠিক না ? পাললিক প্লেসে এমন ঘনিষ্ঠতা কি ন্যায়সঙ্গত, নাকি দৃষ্টিদূষণ ? এই সব প্রশ্নে এখন দ্বিধা বিভক্ত সোশ্যাল মিডিয়া। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিনোদন দুনিয়ার অনেকেই নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেটিজেনদের একাংশ দাবি করেছেন যে প্রকাশ্যে চুমু খেয়ে ঠিক কাজ করেননি যুগল। তাদের নীতিপুলিশ বলে কটাক্ষ করে নেটিজেনদের আরেক দল আবার বলছেন,চুমু খাওয়া কি অন্যায় নাকি ?
ভাইরাল এই ভিডিওটি অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন । আর তাতে নানারকম প্রতিক্রিয়া এসেছে। যেমন একজনের প্রশ্ন, রাস্তাঘাটে কেউ মারপিট করলে তো থামাতে যান না, ও নিজেদের মধ্যে ব্যাপার বলে এড়িয়ে যান, তাহলে ভালবাসা দেখালেই ক্ষতি ? আরেকজন নেটিজেন আবার লিখেছেন, এরা রাস্তাঘাটে যে কাজ করছে, তাতে পুলিশ কোনও কেস না দিয়েই ৫০ ঘা লাঠির বাড়ি দিতে পারত। এক জন্ম কেন ৭ জন্মও রাস্তায় এসব করত না ! যদিও সঙ্গে সঙ্গে তার বিরোধিতা করে একজন লিখেছেন, এখানে তো নগ্নতা বা অসভ্যতার কিছু দেখছি না, কাউকে ভালবাসা প্রকাশ করা অপরাধ নাকি ! একজন লিখেছেন, 'কনসেন্ট নিয়ে চুমুটা প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের সামনে খেলে "কি রোমান্টিক!", মায়ামির বিচে খেলে "me and who?", আর কলকাতা মেট্রোয় নিজের শহরে খেলে "এ মা, এসব কি করছে দেখো"? রান্নায় হিং দাও নাকি হিপোক্রিসি দিয়ে খাও হে?'
এই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। তিনি লিখেছেন, 'বেশ করেছে চুমু খেয়েছে ঘুষ খায়নি তো আপনাদের মতো Get a life Man' আবার বিজেপি নেতা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন, 'মেট্রো স্টেশনে এক যুগল একে অপরকে চুমু খেয়েছে, এতে আপত্তি করার কারণ কী? আপনারা কি কোনোদিন কাউকে ভালোবেসে চুমু খেতে চাননি? প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া যে ভারতের আইনে অপরাধ, তা তো জানা নেই। তাছাড়া, চুমু খাওয়াকে কখনোই অশ্লীল কাজ হিসেবে গণ্য করা যায় না। চুমু বা আলিঙ্গন ভালোবাসা প্রকাশের এক স্বাভাবিক এবং আইনসিদ্ধ মাধ্যম, যা মানুষের অনুভূতি এবং স্নেহ দেখানোর স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে। '
Kolkata Metro Station.
— Shubhangi Pandit (@Babymishra_) December 15, 2024
कुछ नागरिकों ने इन्हे मना भी किया
लेकिन लड़की-लड़का फिर भी नही मानें
इनको पता चल गया कि लोग इनकी Video Record कर रहे हैं। pic.twitter.com/e64G1ajE3m