Calcutta High Court: কর্মশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা, আগামীকাল শুনানি
Recruitment Scam: ৭৫০টি শূন্যপদে নিয়োগে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করা হল হাইকোর্টে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সিবিআই তদন্তের দাবিতে ফের আরেকটি মামলা। এবার কর্মশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা। ৭৫০টি শূন্যপদে নিয়োগে সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা করা হল হাইকোর্টে।
কোন প্রশ্নে মামলা:
'গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশমে ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের চাকরি দেয়নি কমিশন। তাহলে হঠাৎ কেন কর্মশিক্ষায় ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের চাকরি?' প্রশ্ন মামলাকারীর। হাইকোর্টে মামলাকারীর অভিযোগ, 'দুর্নীতি হচ্ছে নিয়োগে, সিবিআই তদন্ত ঠেকাতে ঘুরপথে চাকরি দিচ্ছে কমিশন'। আগামীকাল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানি।
এর আগে কী হয়েছে:
এর আগে কর্মশিক্ষার অতিরিক্ত ৭৫০টি পদ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল আদালত। একটি মামলায় কর্মশিক্ষার অতিরিক্ত ৭৫০টি পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, 'খুব সন্দেহজনক তালিকা, প্রয়োজনে নিয়োগে স্থগিতাদেশ। কম নম্বর পেয়েও ডাক, অথচ বেশি নম্বর পেয়েও আসেনি ডাক। এমন হলে বড় গাফিলতি, উড়িয়ে দেব তালিকা। এই ভুল কি ইচ্ছাকৃত না গাফিলতি?' এসএসসিকে প্রশ্ন বিচারপতির। তিনি মঙ্গলবার নির্দেশ দেন যে আপাতত দু’দিন উচ্চপ্রাথমিকে কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগপত্র প্রদানে নিষেধ করেছে হাইকোর্ট। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদের নিয়োগপত্রে দুদিনের জন্য নিষেধ করেছিলেন বিচারপতি। এরইসঙ্গে ওয়েটিং লিস্ট কীভাবে তৈরি হয়েছিল? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। SSC সূত্রে খবর উচ্চ প্রাথমিকের কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং পর্ব শেষ হয়েছে। ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থী, যাঁরা কাউন্সেলিং-এ এসেছিলেন, তাঁদের নিয়োগের সুপারিশপত্রও দেওয়া হয়। এরপরই সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়ে অনেকে কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েছেন। সেই মামলায়, মঙ্গলবার এসএসসির জবাব চান বিচারপতি। তাতেই, স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়, বীরসা মুণ্ডার জন্মদিন উপলক্ষ্যে এদিন (মঙ্গলবার) অফিস বন্ধ রয়েছে, ফলে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রশ্নই নেই।
কী অভিযোগ?
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষায় নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ২০১৭-য় পরীক্ষার পর ২০১৮ সালে পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করার পাশাপাশি, ৩ নভেম্বর কাউন্সেলিংয়ের দিন ঘোষণা করে SSC। ১০ ও ১১ নভেম্বর ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হয়। তারপরেই তালিকায় নাম থাকা এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেন। তিনি মামলা করে অভিযোগ করেন যে তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়েও সুপারিশপত্র পেয়েছেন এর একজন। তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে।
আরও পড়ুন: 'বুলেট দাও, নইলে চাকরি দাও', কালীঘাটে উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ তুঙ্গে