Kolkata News: পরিবেশরক্ষা শুধু মুখের কথাই, কলকাতার বহু রাস্তায় এখনও নিষিদ্ধ সাইকেল
World Environment Day 2022: শুক্রবার ছিল বিশ্ব সাইকেল দিবস। আর রবিবার রয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশের দিকটি মাথায় রেখে, সাইকেলের গুরুত্বের কথা বলছেন পরিবেশকর্মীরাও।
শিবাশিস মৌলিক ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: বেড়েছে সাইকেলের চাহিদা (Bicycle)। কিন্তু কলকাতা (Kolkata News) শহরের বহু রাস্তাতেই সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ। ফলে ফাঁপরে পড়ছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, সাইকেল বে-র সংখ্যা আরও বেশি বাড়াক পুরসভা (KMC)। দূষণ কমাতে একই কথা বলছেন পরিবেশকর্মীরা। তবে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, শহরের যা পরিস্থিতি, তাতে এই দাবি মানা কঠিন।
বিড়ম্বনা, জরিমানার ভয় সাইকেলে
প্রথমে করোনার কারণে রুজি-রোজগারে কোপ। তারপর পেট্রোল-জ্বালানির আকাশোছোঁয়া দাম। জোড়াফলায় বিপর্যস্ত বহু মানুষেরই কর্মস্থলে যাওয়ার অন্যতম ভরসা সাইকেল। আগের তুলনায় গত ২ বছরে এই দ্বিচক্রযানের ওপর বেড়েছে নির্ভরতা।
কিন্তু এরই পাশাপাশি, বেড়েছে বিড়ম্বনাও। সাইকেল চালিয়ে খাস কলকাতায় ঢুকতেই বিপদে পড়ছেন অনেকেই। কারণ, তিলোত্তমার বহু রাস্তাতেই সাইকেলের নো এন্ট্রি। পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতার বুকে এমন শতাধিক রাস্তা রয়েছে, যেখানে সাইকেল চালালেই গুণতে হবে জরিমানা।
ফলে এইসব রাস্তায় সাইকেল চালাতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন গুনকার দিতে হচ্ছে কাউকে না কাউকে। রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়া এমন বহু সাইকেল চালকই দাবি করছেন, শহরের রাস্তায় বাড়ানো হোক সাইকেল বে-র সংখ্যা।
শুক্রবার ছিল বিশ্ব সাইকেল দিবস। আর রবিবার রয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশের দিকটি মাথায় রেখে, সাইকেলের গুরুত্বের কথা বলছেন পরিবেশকর্মীরাও। পরিবেশ কর্মী সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ বলেন, "সাইকেলের ব্যবহার বাড়লে ৪০ শতাংশ দূষণ কমতে পারে।"
তবে বললেই যে সাইকেল বে বাড়ানো যাবে না, সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "কলকাতার মতো শহরে কঠিন, ৭ শতাংশ রাস্তা আছে, সেক্ষেত্রে মূল শহরে সাইকেল বে করা কঠিন।"
সাইকেলকে প্রাধান্য দেওয়ার দাবি
কলকাতায় সাইকেল বে-র সংখ্যা অনেক কম। অথচ, সেক্টর ফাইভের এসডিএফ থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত এটি থাকলেও তা বদলে গেছে ফুটপাতে। সব মিলিয়ে সকলেরই দাবি, সাইকেল চলাচলের আরও সুযোগ করে দিক প্রশাসন। তাতে যেমন পরিবেশে দূষণ কমবে, তেমনই বাড়বে শরীরচর্চাও।