Burrabazar: বিজেপির মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা বড়বাজারে, দোকান বন্ধ নিয়ে অশান্তি
Kolkata Bandh: বনধকে সফল করতে আজ রাস্তায় নামে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকরা। এই বনধকে কেন্দ্র করে কালাকার স্ট্রিটে বিজেপির মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।
অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: পুরভোটে অশান্তির অভিযোগে আজ ১২ ঘণ্টা রাজ্য জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই বনধকে সফল করতে আজ রাস্তায় নামে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকরা। এই বনধকে কেন্দ্র করে কালাকার স্ট্রিটে বিজেপির মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।
এদিন বড়বাজারের এই মিছিলে মীনাদেবী পুরোহিত, কল্যাণ চৌবেরা ছিলেন নেতৃত্বে। কালাকার স্ট্রিটে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকলেও কিছু দোকান খোলা ছিল। বিজেপি কর্মীরা গিয়ে দোকান বন্ধ করতে বলেন। তখন পুলিশ জানায়, ইচ্ছে হলে মালিকরা দোকান খোলা রাখতে পারেন। এই নিয়ে দু’পক্ষে বচসা শুরু হয়। এরপর মিছিল এমজি রোড ক্রসিংয়ে এলে পুলিশ পথ আটকায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের।
এদিকে, সকাল ৬টা ৪০ নাগাদ রুবি মোড়ে দেখা গেল, সরকারি ও বেসরকারি বাস অন্যান্য দিনের মতোই চলছে। রাস্তায় রয়েছে ট্যাক্সি, অটো। পুলিশ রয়েছে রাস্তায়। বালিগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। সকাল ৬টা নাগাদ দেখা গেল, অন্যান্য দিনের মতোই ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়। বড়বাজারে সকাল সাড়ে ৯টায় দেখা যায়, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক। দোকানপাটও খোলা।
যাদবপুরে বনধ সমর্থক বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় গন্ডগোল হয়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা এইট বি মোড় অবরোধ করতে গেলে সরিয়ে দেয় পুলিশ। ফের দ্বিতীয় দফায় পথ অবরোধের চেষ্টা হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। হাজরা মোড়ে বিজেপির দফায় দফায় বিক্ষোভ। প্রথমে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় বসতে গেলে পুলিশ তাঁদের তুলে দেয়। ফের দ্বিতীয় দফায় রাস্তা অবরোধ করতে যান বিজেপির মহিলা কর্মীরা। পুলিশ তাঁদেরও সরিয়ে দেয়।
বেহালার ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে ডায়মন্ড হারবার রোডে সকাল ১০টা ২০ নাগাদ পথ অবরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল পুলিশ। রাস্তা আটকাতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। রাস্তায় শুয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। পুলিশ অবরোধকারীদের টেনে সরিয়ে দেয়। বিটি রোডে বিজেপি কর্মীদের পথ অবরোধকে ঘিরে উত্তপ্ত হল পরিস্থিতি। টবিন রোডের মুখে পথ অবরোধ করার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী- সমর্থকরা। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় অবরোধকারীদের।