Charu Market Incident: ঘর খুলতেই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, চারু মার্কেটের ঘটনায় খুঁচিয়ে খুনের তত্ত্ব পুলিশের
Kolkata News: নিহত পরিচারকের বাড়ি আসানসোলের কুলটির লখিয়াবাদে। জানা গিয়েছে. আগামীকাল মালিকের পরিবারের সঙ্গেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল, তার আগেই খুন।

পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: চারু মার্কেটে অভিজাত আবাসনে ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে পরিচারককে খুনের (Charu Market Murder) ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত। মালিকের শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় পরিচারকের রক্তাক্ত, বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনও কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে খুন করা হয়েছে। নিহত অবিনাশ বাউড়ির মোবাইল ফোন উধাও। ওই ফ্ল্যাটে একাধিক CC ক্যামেরা থাকলেও, সবকটিই অকেজো। কোনও ক্যামেরাতেই রেকর্ডিং সিস্টেম না থাকায় অন্ধকারে পুলিশ।
নিহত পরিচারকের বাড়ি আসানসোলের কুলটির লখিয়াবাদে। জানা গিয়েছে. আগামীকাল মালিকের পরিবারের সঙ্গেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল, তার আগেই খুন। পরিবার সূত্রে খবর, ২২ বছরের অবিনাশ দীর্ঘদিন ধরে চারু মার্কেট এলাকায় পরিচারকের কাজ করতেন। থাকতেন এক বন্ধুর সঙ্গে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ এক যুবককে অবিনাশের পিছন পিছন ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখেন। দুপুরে মালিকের ফোন পেয়ে ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষী দেখেন, দরজা লক করা, বেল বাজছে না। এরপর ফ্ল্যাটের মালিক এসে মেঝেতে রক্তমাখা পায়ের ছাপ দেখতে পান। শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় পরিচারকের দেহ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ফ্ল্যাটে ছিলেন না মালিক কুশল ছাবড়া ও তাঁর পরিবার। ফাঁকা ফ্ল্যাটে এক বন্ধুকে নিয়ে আসেন অবিনাশ। ফ্ল্যাট মালিক ব্যবসায়ী কুশল বার বার ফোন করে অবিনাশকে না পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে দেখতে বলেন। নিরাপত্তারক্ষী ও পাশের ফ্ল্যাটের পরিচারিকা এসে দেখেন, বাইরে থেকে দরজা বন্ধ। সূত্রের খোঁজে পুলিশ কুকুর নিয়ে আসা হয়। নিহত যুবকের পরিচিত ও আশেপাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনও কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে খুন করা হয়েছে।
এদিকে বেলেঘাটায় যুবকের রহস্যমৃত্যুতে নতুন তথ্য সামনে এল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ইঙ্গিত, আত্মহত্যা নয় খুন হয়েছেন ২৭ বছর বয়সি রোহন মণ্ডল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল রোহনের। পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে যান। তারপর থেকে একাই থাকতেন ২৭ বছর বয়সী রোহন। কাজ না থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। নেশাও করতেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন মনে করা হলেও, ময়নাতদন্তে জানা যায়, খুন হয়েছেন ওই যুবক। তাঁর দেহে যে সমস্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তা নিজের করা নয় বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন। কে বা কারা খুন করল তা নিয়ে ধোঁয়াশা।খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। আরও সূত্রের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।






















