Kolkata News: বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে, শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি ইডি-র
ED Raids: মঙ্গলবার সকালে ১০ নম্বর আলিপুর রোডে ইডি-র আধিকারিকরা পৌঁছন। সেখানে একটি গেস্ট হাউসের পিছনে বসতি এলাকা রয়েছে। সেই বসতি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
কলকাতা: শহরে ফের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED Raids) অভিযান। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ইডি (Enforcement Directorate)। একটি বেসরকারি সংস্থার ট্য়াংরা এবং হেস্টিংসের অফিসে তল্লাশি। আনন্দপুরের একটি অভিজাত আবাসন এবং আলিপুরেও অভিযান চলছে। ইডি সূত্রে খবর, বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই তল্লাশি চলছে (Kolkata News)।
আনন্দপুরের একটি অভিজাত আবাসন এবং আলিপুরেও অভিযান চলছে
মঙ্গলবার সকালে ১০ নম্বর আলিপুর রোডে ইডি-র আধিকারিকরা পৌঁছন। সেখানে একটি গেস্ট হাউসের পিছনে বসতি এলাকা রয়েছে। সেই বসতি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ সেখানে ইডি-র আধিকারিকরা পৌঁছন। আবাসনের ষষ্ঠ তলায় তল্লাশি অভিযান চলছে। এলাকায় পুলিশও। ইডি-র সঙ্গেও কথা তাঁদের। কিন্তু ঠিক কী কারণে তল্লাশি, সে ব্যাপারে স্পষ্ট তথ্যে মেলেনি।
তবে ওই এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবাসন এবং গেস্ট হাউসের নিরাপত্তারক্ষীদেরও সতর্ক করা হয়। মূল ফটক বন্ধ রাখা হয়েছে। যাঁরা ঢুকছেন, বেরোচ্ছেন, তাঁদের থেকে নেওয়া হচ্ছে নথি। ফোন করতে গেলেও, খবর নেওয়া হচ্ছে। এ দিন শহরে ৫০-৬০ জন ইডি-র আধিকারিক শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন। তাতে কী বেরিয়ে আসে সকলের নজর এখন সে দিকে।
এই মুহূর্তে আনন্দপুর, মিডল রো হেস্টিংস, আলিপুর, আলিপুর অ্যাভিনিউ-সহ শহরের মোট নয়টি জায়গায় তল্লাশি চলছে। ইডি সূত্রে খবর, মোট দুই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল, ব্যাঙ্ক প্রতারণা এবং শহরের দুইটি সংস্থা, আদিশ্রী ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং এসআরইআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। ব্যাঙ্ক প্রতারণা এবং বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ জমা পড়ে। তদন্ত করতে দেখা যায়, কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আপাতত সন্দেহজনক বলেই মন করছেন ইডি-র আধিকারিকরা।
কোনও প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে
দুই সংস্থার ডিরেক্টরের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। লেনদেন সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করার পাশাপাশি, সংস্থার অ্যাকাউন্টস-এর দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে কোনও প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে কিনা, কোনও ভাবে সেখান থেকে কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।