Kolkata News: মুহূর্তে বিধ্বংসী আকার নিল আগুন, ধোঁয়ায় ঢাকল চারিদিক, স্বয়ংক্রিয় নির্বাপক যন্ত্রই ছিল না বিমানবন্দেরর পোর্টালে!
Kolkata Airport Fire: রাতের দিকে সাধারণত ভিড় ভালই থাকে বিমানবন্দরে। সিকিওরিটি চেক ইন কাউন্টারের সামনে তাই লম্বা লাইন চোখে পড়ে।
কলকাতা: পাশাপাশি অবস্থিত অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ডিপার্চার। নিয়মিত সিকিওরিটি চেক ইন হয় সেখানে। কলকাতা বিমানবন্দরের সেই সিকিওরিটি চেক ইনেই আগুন লাগল (Kolkata Airport Fire)। বুধবার রাতে এই অগ্নিকাণ্ডকে ঘিরে হুলস্থুল বাধল। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। কিন্তু বিমানবন্দরের স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেন কাজ করছিল না, কেন বিধ্বংসী আকার ধারণ করল আগুন উঠছে প্রশ্ন (Kolkata News)। বিমানবন্দর সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে পোর্টালের কাছে আগুন লাগে, সেখানে স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছিল না। কেন ছিল না, মেলেনি তার সদুত্তর।
রাতের দিকে সাধারণত ভিড় ভালই থাকে বিমানবন্দরে। সিকিওরিটি চেক ইন কাউন্টারের সামনে তাই লম্বা লাইন চোখে পড়ে। ওই জায়গায় নিরাপত্তাও থাকে আটোসাঁটো। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে অনুমান করা হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে। কিন্তু কেন তা গোড়াতেই চোখে পড়ল না, আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল কী করে, কেন বিমানবন্দরে থাকা স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কাজ করল না, উঠতে শুরু করে প্রশ্ন
আরও পড়ুন: Kolkata News: ব্যস্ত সময়ে ধোঁয়ায় ঢাকল চারিদিক, কলকাতা বিমানবন্দরে আচমকাই আগুন, ছড়াল আতঙ্ক
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রী এবং কর্মীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয় হয় দমকলে। এসে পৌঁছয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ জানা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ৯টা বেজে ২০ মিনিটে যেখানে প্রথম ধোঁয়া চোখে পড়ে, আগুন ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে, সেই সময়ই কেন স্বয়ংক্রিয় নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেল না, উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, যে জায়গায় আগুন লাগে, সেখানে যন্ত্র ছিল না।
বিমানবন্দরের সিকিওরিটি চেক ইনের যে জায়গায় আগুন লাগে, সেখানে এমনিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। আর কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে তারে সমস্যা রয়েছে কিনা দেখা হচ্ছে খতিয়ে। কিন্তু যেখানে এত মানুষ রোজ ভিড় করেন, সেখানে নিয়মিত কেন ব্যবস্থাপনায় চোখ গেল না, উঠছে সেই প্রশ্নও।
যদিও বিমানবন্দরের কর্মীদের একাংশের দাবি, আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। আজও ডিউটি নিয়ে উপরে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই আগুন লাগে। আপাতত চেক ইন বন্ধ রাখা হয়েছে। আগুন লাগে যেখানে, সেই জায়গা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। অন্য কাউন্টার দিয়ে চেক ইন শুরু হয়েছে।