Firhad Hakim Updates: দুর্গাপুজো করতে দিই না! ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কী ভাবে? প্রশ্ন ফিরহাদের
Firhad Hakim Updates: গেরুয়া শিবিরের নেতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন তাঁর, “এই সরকার নাকি দুর্গাপুজো বন্ধ করে দেয়? তাহলে কলকাতা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কী ভাবে?”
কলকাতা: আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনেস্কো(United Nations Educational Scientific and Cultural Organisation/UNESCO)-র ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো (Durga Puja)। তা নিয়ে নাম না করে বিজেপি-কে কটাক্ষ রাজ্যের মন্ত্রী কলকাতার ভাবী মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন তাঁর, “এই সরকার নাকি দুর্গাপুজো বন্ধ করে দেয়? তাহলে কলকাতা ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কী ভাবে?”
এবিপি আনন্দ আয়োজিত ‘যুক্তি-তক্কো’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ফিরহাদ। সেখানে উপস্থিত বিরোধী শিবিরের নেতাদের উদ্দেশে সরাসরি এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। ফিরহাদ বলেন, “কখনও ভেবেছিলেন যে এই কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেবে ইউনেস্কো! কলকাতা আমাদের সাংস্কৃতিক রাজধানী। বাঙালি সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন মানুষ। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিবেকানন্দের বাংলায় থাকি আমরা। এই বাংলাকে নিয়ে গর্ববোধ করি।”
আরও পড়ুন: Firhad Hakim: পূর্বপুরুষের পাপ বয়ে বেড়াচ্ছি, বেকারত্ব প্রশ্নে বামেদের কাঠগড়ায় তুললেন ফিরহাদ
সরাসরি নাম না করলেও, ফিরহাদের নিশানায় যে বিজেপি (BJP), তা বুঝতে পরিশ্রম লাগে না। কারণ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বকে। অভিযোগকারীদের সেই তালিকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)-সহ বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব শামিল ছিলেন।
যদিও ইউনেস্কো-র ঘোষণার পর সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থান নিতে দেখা যায় তাঁদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্গাপুজোকে গোটা দেশের গর্ব বলে উল্লেখ করেন। অন্য দিকে, শাহ জানান, দুর্গাপুজো ভারতের সমৃদ্ধশালী সাংস্কৃতিক এবং ঐক্যবোধের চেতনাকে প্রতিফলিত করে। তবে ইউনেস্কো স্পষ্ট ভাষায় কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিলেও, মোদি-শাহের কেউই কলকাতার কথা উল্লেখ করেননি শুভেচ্ছাবার্তায়।
মোদি-শাহকে সেই নিয়ে কটাক্ষও করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষোক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। টুইটারে তিনি লেখেন, 'অমিত শাহ-সহ সেই সব বিজেপি নেতা, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না বলে ভোটের প্রচারে এসে দাবি করেছিলেন, তাঁদের জন্য দু'মিনিটের নীরবতা। তাঁদের মিথ্যাচার ফাঁস হয়ে গেল।'