Garia Mysterious Death of Couple: গড়িয়ায় ভাড়াবাড়িতে রহস্যমৃত্যু দম্পতির, দেহ উদ্ধার ঘর থেকে, স্ত্রীকে খুন করে স্বামী আত্মঘাতী বলে অনুমান
Kolkata News: বুধবার রাতে আদর্শনগরের ওই বাড়ি থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়।

রঞ্জিত হালদার, কলকাতা: শহরে ফের রহস্যমৃত্যু। গড়িয়ার আদর্শনগরে রহস্যমৃত্যু এক দম্পতির। ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল তাঁদের দেহ। ঘটনার সময় কেউ বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু দম্পতির আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, গতকালও স্বাভাবিক মনে হয়েছিল দু'জনকে। ঠিক কী ঘটেছে তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হন স্বামী। (Garia Mysterious Death of Couple)
বুধবার রাতে আদর্শনগরের ওই বাড়ি থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। ৪৫ বছর বয়সি তরুণ দাস এবং তাঁর স্ত্রী, ৩৫ বছর বয়সি আশা দাস সেখানে ভাড়া থাকতেন। গতকাল বাড়ির এক সদস্যই দু'জনের দেহ দেখেত পান। জানা গিয়েছে, ডাকাডাকি করে সাড়া না মেলায় ঘরে উঁকি দিতে যান তিনি। তখনই ঘরের মধ্যে একজনকে ঝুলতে দেখেন তিনি। এর পর চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। এর পর আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। (Kolkata News)
স্থানীয়রাই দরজা ভেঙে ওই দম্পতির ঘরে ঢোকেন। সেখানে দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে তরুণের দেহ। স্ত্রী আশার দেহ পড়ে রয়েছে বিছানার উপর। আশার গলায় দাগ ছিল। শরীরে রক্তের দাগ ছিল তাঁর। সেই অবস্থায় নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে পুলিশ এসে দেহ দু'টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন স্বামী।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল, তার কারণ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ছ'মাস ধরে আদর্শনগরের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন মৃত দম্পতি। দু'জন গতকাল সন্ধেয় বাড়ি ফেরেন। সেই সময় চোখেমুখে কিন্তু অস্বাভাবিক কিছুই দেখা যায়নি। রাতের দিকে ডেকে সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয়। তার পরই দেখা যায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গিয়েছে।
এর আগে, সম্প্রতি আসানসোল থেকেও একই ধরনের ঘটনা সামনে আসে। সেখানকার কুলটির আলডিহি গ্রামে দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘরের মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ। ওই ঘর থেকেই স্বামীর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। স্বামী দিনমজুরের কাজ করতেন। গৃহবধূ ছিলেন স্ত্রী। দম্পতির এক মেয়ে বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের দাবি, ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন স্বামী। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত। তার জেরেই স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মেরে খুন করে স্বামী আত্মঘাতী হন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে পুলিশ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
