Arrest: নেপথ্যে পুরসভার মিউটেশনের দাদাল চক্র? কেষ্টপুরে জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ৫
জোড়া মুত্যুর নেপথ্যে কি বিধাননগর পুরসভার মিউটেশনের দালাল চক্র? ৩৫ লক্ষ টাকা ফেরতের জন্য মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার জেরেই কি এই ঘটনা?
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: কেষ্টপুরে মা-মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ৫। নেপথ্যে বিধাননগর পুরসভার মিউটেশনের দাদাল চক্র? তদন্তে পুলিশ।
জোড়া মুত্যুর নেপথ্যে কি বিধাননগর পুরসভার মিউটেশনের দালাল চক্র? ৩৫ লক্ষ টাকা ফেরতের জন্য মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার জেরেই কি এই ঘটনা? কেষ্টপুরে মা-মেয়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে, চলছে জেরা। কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কাননের এই আবাসনের ৩ তলার ফ্ল্য়াটে ভাড়া থাকতেন বিধাননগর পুরসভার প্রাক্তন অস্থায়ী কর্মী গৌতম দে।
ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন বছর ৪৬-এর বোন গোপা রায়। সোমবার ঘরের মধ্যে গোপা ও তাঁর বছর ২৬-এর মেয়ে সুদেষ্ণার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ৫ জনের মধ্যে একজন বিধাননগর পুরসভার অটোচালক ও ৩ অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন।
তদন্তকারীদের অনুমান, মা-মেয়ের আত্মহত্যার নেপথ্যে বিধাননগর পুরসভার মিউটেশনে দালাল চক্র। পুলিশ সূত্রে খবর, পুরসভায় ঘুরপথে মিউটেশন করিয়ে দিতে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন ধৃতরা। গোপা দাদার মাধ্যমেই পুরসভা থেকে কাজ হাসিল করতেন তাঁরা। অভিযোগ, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কাজের জন্য গৌতমকে ৩৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু কাজ হয়নি, টাকাও ফেরত মেলেনি। তারপর থেকেই টাকা ফেরত চেয়ে হুমকি দিচ্ছিল ৫ জন। অভিয়োগ, শনিবার ফ্ল্যাটে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করার পর রবিবার গিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। স্ট্যাম্প পেপারে লেখানো সেই মুচলেকায় বলা হয়, ৪৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। সাক্ষী হিসেবে সই করানো হয় গোপাকে।
এতেই ভয় পেয়ে মা-মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার বিকেলে ভাইকে দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করা ও বিছে মারার জন্য অ্যাাসিড কেনান গোপা। সেই সঙ্গে আনান কোল্ড ড্রিঙ্ক। তারপর রাতেই ভাইকে তারাপীঠে পুজো দিতে পাঠান। সেই সুযোগে আত্মঘাতী হন মা-মেয়ে।
গৌতমের দাবি, তারাপীঠ যাওয়ার আগে রাস্তা থেকে বাড়িতে ফোন করলেও কেউ ধরেনি। শেষমেশ আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের ফোন করে খোঁজ নিতে বলেন। নিরাপত্তারক্ষীরা জানালা দিয়ে দেখেন, অচৈতন্য অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন গোপা রায় ও তাঁর ২৬ বছরের মেয়ে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
যদিও মিউটেশনে দাদাল চক্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিধাননগর পুরসভা। মৃত্যু-রহস্যের জট খুলতে ধৃতদের পাশাপাশি, মৃত গোপা রায়ের ভাই ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।