Bansdroni : বাড়ির পিছনে বর্জ্য, ফেসবুক পেজে ক্ষোভ জানানোয় তৃণমূল কাউন্সিলরের 'রোষের' মুখে মহিলা !
Allegation against TMC Councilor : তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ দাসের বিরুদ্ধে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : ফেসবুক পেজে ক্ষোভ জানানোয় তৃণমূল কাউন্সিলরের 'রোষের' মুখে মহিলা ! তৃণমূল কাউন্সিলরের ফেসবুক পেজে পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ জানানোয় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ দাসের বিরুদ্ধে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা।
বাঁশদ্রোণীর পূর্বপাড়ায় বাড়ির পিছনে পরিত্যক্ত জায়গায় হাসপাতালের বর্জ্য পড়ে রয়েছে। সেই বর্জ্য পরিষ্কার না হওয়ায় তৃণমূল কাউন্সিলরের ফেসবুকে পেজে ক্ষোভ জানান মহিলা। এর পরেই দলবল নিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তাঁকে হুমকি দিয়েছেন। এলাকার মহিলাদের দিয়ে চড়াও হওয়ার কথাও বলা হয়।
এনিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ দাসের বিরুদ্ধে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। ঘটনার কথা স্বীকার করলেও, হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর। অভিযোগকারিণীর বাড়ি গেলেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি তিনি।
অভিযোগকারিণী বলেন, "পরশু দিন দেখি ওঁরা উদ্বোধন করছেন। আমি বললাম, উদ্বোধন করলেন, কিন্তু পেছনে যে জঞ্জালটা পড়ে রইল সেটা আপনি দেখলেন না। জনসাধারণের প্রতিনিধি হিসেবে বাহবা নিলেন। আমি যখন ওঁকে সম্মান জানিয়েছি, তখন উনি আমার ওপর চড়াও হন। ওঁর সঙ্গে যে দুজন এসেছিলেন তাঁরা আমার ওপর চড়াও হন। কাউন্সিলর বলছেন, স্টোর ভাঙা হবে না। আমি তখন বলি, স্টোর ভাঙার কথা বলছি না।"
অভিযোগকারিণীর মেয়ে বলেন, "ওঁরা বলে গেছেন, আমি জানি আপনি বাড়িতে একা থাকেন। তাঁর একজন শাগরেদ ছিলেন। তিনি বলেন, তুমি আর ক'দিন। কতদিন বাঁচবে ? বলছেন, পাড়ার মেয়েদের দিয়ে মারাব। তার ভিডিও ফুটেজও রয়েছে আমার কাছে। কাউন্সিলর বলেন, দেখব, এখন কে কী করতে আসেন। আপনার কোনও কাজ আমি করব না। পরিচিত কারও কাজও করব না। যাওয়ার সময় বলে গেছেন, দেখি আপনারা কী করতে পারেন।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর বলেন, আমার মনে হল, উনি বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে ফেলেছেন। অরূপ বিশ্বাসের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কে কী দল করে পৌরপিতা হিসেবে ক্ষমতা নেই এনিয়ে কথা বলবেন। প্রত্যেক মানুষকে আমরা পরিষেবা দিই। কিন্তু, ওঁর মনে হয়েছে, উনি কোনও নির্দিষ্ট দলের অন্তর্ভুক্ত বলে আমি ওটা করিনি। ওঁকে বললাম, আমার আরও দুদিন সময় লাগবে। কিন্তু, কাজটা আপনার হবে।
পুলিশ আধিকারিকরা বলছেন, তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।