Kolkata Municipal Corporation: কলকাতা পুরসভার আর্থিক সঙ্কট, 'মাইনে-পে কমিশনে বাড়তি দিতে হচ্ছে', দাবি ফিরহাদের
Firhad Hakim: ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'পুরসভার আয় বেড়েছে, কিন্তু এখনও রাজস্ব আদায়ে খামতি আছে। পে কমিশন বেড়েছে, বড় আর্থিক বোঝা চেপেছে পুরসভার গায়ে।'
কলকাতা: আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। কোষাগারের সঞ্চয় তলানিতে ঠেকায় এর আগে একটি নোটিসও দেখা গিয়েছিল। এরপরই তহবিল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানিয়ে দেন, পুরসভায় আর্থিক সঙ্কট থাকলেও তহবিল নিয়ে অভিযোগ খারিজ করেছেন তিনি।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'পুরসভার আয় বেড়েছে, কিন্তু এখনও রাজস্ব আদায়ে খামতি আছে। পে কমিশন বেড়েছে, বড় আর্থিক বোঝা চেপেছে পুরসভার গায়ে। কাউন্সিলর ফান্ডের টাকা পেলেও, মাইনে-পে কমিশনে বাড়তি দিতে হচ্ছে।' পুরসভার তহবিল নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দাবি ফিরহাদের দাবি, 'আর্থিক বোঝা রয়েছে পুরসভার ঘাড়ে। তবে ফান্ড অন্য কোথাও যাওয়ার ব্যাপার নেই'।
এদিকে, নতুন বছরেই কলকাতায় বাড়তে চলেছে সম্পত্তি কর। শহরের সাতটি জোনে গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে সম্পত্তি কর। ক্যাটিগরি অনুযায়ী প্রতি স্কোয়ার ফুটে সর্বনিম্ন ২ টাকা ও সর্বোচ্চ ৮ টাকা সম্পত্তি কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন, 'মেধাশ্রী স্কলারশিপ' ঘোষণা মমতার! কারা পাবেন এই সরকারি প্রকল্পটির সুবিধা?
ক্যাটিগরি অনুযায়ী প্রতি স্কোয়ার ফুটে সর্বনিম্ন ২ টাকা ও সর্বোচ্চ ৮ টাকা সম্পত্তি কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ২০১৭ সালের পয়লা এপ্রিল, কলকাতায় ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর, এর পুনর্মূল্যায়ন হয়। সেই মতো সম্প্রতি মেয়র পারিষদদের বৈঠকে চূড়ান্ত হয় এবারের ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট ও সম্পত্তিকরের নতুন হার।
সম্পত্তিকর বৃদ্ধির পাশাপাশি কিছু ছাড়ের সুবিধাও রেখেছে কলকাতা পুরসভা। হেরিটেজ বাড়ি থাকলে, কোনও বাড়ির বয়স বেশি হলে কিছু ছাড় মিলবে। যে বাড়িতে ভাড়াটে রয়েছে সেক্ষেত্রে বাড়ির মালিককে এতদিন যতটা সম্পত্তিকর দিতে হত, তার থেকে কিছুটা ছাড় মিলতে পারে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।