Kolkata Murder : এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধ, পুলিশ তালা ভাঙতেই উদ্ধার রিকশাচালকের 'খুন' হওয়া পচাগলা দেহ
Kolkata Crime News : মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। ওই ঘরের বাসিন্দা অপর এক রিকশচালককে খুঁজছে পুলিশ।

সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : বাঘাযতীন স্টেশন রোডে (Baghajatin Station Road) বন্ধ ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার এক রিকশচালকের পচাগলা দেহ। প্রাথমিক তদন্তে খুন বলে অনুমান পুলিশের। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। ওই ঘরের বাসিন্দা অপর এক রিকশচালককে খুঁজছে পুলিশ (Police)।
সকাল থেকেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল দুর্গন্ধ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গন্ধের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পাটুলি থানায় খবর দেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ এসে একটি ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার করল এক রিকশচালকের পচাগলা দেহ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঘাযতীন স্টেশন রোডের তালপুকুর এলাকায়।
মৃতের নাম, শম্ভু অধিকারী(৪৫)। বাড়ি গড়িয়ায়। বাঘাযতীন স্টেশন রোডে তিনি রিকশ চালাতেন। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বাড়ি ফেরেননি শম্ভু। মঙ্গলবার সারাদিন খোঁজাখুঁজি করেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। এদিকে, এদিন সকালে বাঘাযতীন স্টেশন রোডের তালপুকুর এলাকার একটি ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পাটুলি থানায়। ঘরটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। পুলিশ এসে তালা ভেঙে উদ্ধার করে শম্ভুর দেহ।
পাটুলি থানার পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে খুন বলে অনুমান। তবে কী কারণে কীভাবে খুন তা জানতে তদন্ত চলছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। ওই ঘরের বাসিন্দা অন্য এক রিকশচালকের খোঁজ করা হচ্ছে। এদিন ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সংগ্রহ করেন নমুনা।
আরও পড়ুন-ফের দুর্যোগের ঘনঘটা, গভীর নিম্নচাপের জেরে শনিবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টির দুর্যোগ
দিনকয়েক আগে পারিবারিক বিবাদের জেরে শাশুড়ি, ভাসুর, জা ও ভাসুরের কিশোরী কন্যাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে গৃহবধূর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হাওড়া থানার এমসি ঘোষ লেনের। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পল্লবী ঘোষ। পলাতক তাঁর স্বামী দেবরাজ।
পুলিশের দাবি, জেরায় পল্লবী জানিয়েছেন, গতকাল রাতে শৌচাগারে কল খুলে রাখা নিয়ে জা রেখা ও ভাসুর দেবাশিসের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। নিজের ৭ বছরের ছেলেকে দোতলার ঘরে বন্ধ করে কাটারি নিয়ে নীচে নেমে জা-ভাসুরকে কোপাতে শুরু করেন পল্লবী। বাধা দিলে শাশুড়ি মাধবী ও জায়ের মেয়ে ১৩ বছরের তিয়াসাকে এলোপাথাড়ি কোপান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের। বাঁচাতে গিয়ে জখম হন এক আত্মীয়। শুধুই পারিবারিক বিবাদ? নাকি সম্পত্তি বা অন্য কোনও আক্রোশে খুন? খতিয়ে দেখছে হাওড়া থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় পল্লবীর দাবি, তাঁর স্বামী বাড়ি ছিলেন না। একাই খুন করেছেন ৪ জনকে। রেগে গেলে যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। এমনকি নিজেকেও মারতে পারি, পুলিশের কাছে দাবি পল্লবীর। ধৃত মহিলার আচরণ স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।























