Naktala Fire: বন্ধ ফ্ল্যাটে আগুন, ঝলসে মৃত্যু ৯ পোষ্যর, নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
Kolkata news: কী ভাবে লাগল আগুন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, পার্থপ্রতিম ঘোষ ও সমীরণ পাল, কলকাতা: নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ঝলসে মৃত্যু হল খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। নিছক দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ ফ্ল্যাটের মালকিনের। মিথ্যে অভিযোগ বলে দাবি ফ্ল্যাটের বাকি বাসিন্দাদের। কী ভাবে লাগল আগুন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গভীর রাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কলকাতা ও জেলায় তিন তিনটি অগ্নিকাণ্ড। নাকতলার পাশাপাশি অগ্নিকান্ড ঘটেছে তিলজলা এবং বনগাঁতেও।
এর মধ্যে নাকতলায় বন্ধ ফ্ল্যাটে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের। নিছক দুর্ঘটনা, না অন্য কিছু, এই ঘটনাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। কারণ ফ্ল্যাটের মালকিন আবাসনের বাসিন্দাদের দিকে আঙুল তুলেছেন।
শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে নাকতলায় একটি ফ্ল্যাটবাড়ির একতলায়। চার তলা আবাসনের ওই তলায় কোনও ব্যক্তি থাকতেন না। সেখানে রাখা ছিল খাঁচাবন্দি আটটি বিড়াল এবং একটি কুকুর। আগুনে ঝলসে তাদের মৃত্যু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের মালকিন কমলিকা গুপ্তের দাবি, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছে।
এবিপি আনন্দের মুখোমুুখি হয়ে কমলিকা বলেন, "আমাদের এখানে থাকতে দেওয়া হয় না। এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে। আগুন লাগার ঘটনা কাকতালীয় নয়। এর আগেও কুকুর-বিড়ালদের মারার চেষ্টা হয়েছে। এই নিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফ্ল্যাটের মালিক।"
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কমলিকার প্রতিবেশীরা। আবাসনের বাসিন্দা স্বপনকুমার দাশগুপ্ত, অজয়কুমার সাউ জানিয়েছেন, থাকতে না দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। ফ্ল্যাটের মালিক কুকুর-বিড়ালদের ঠিকমতো দেখাশোনা করতেন না। নোংরা করে রাখতেন। বার বার বলা সত্ত্বেও, কর্ণপাত করেননি। কমলিকা এবং আবাসনের অন্য আবাসিকরা, দু'পক্ষই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। কী ভাবে আগুন লাগল, খতিয়ে দেখছে নেতাজি নগর থানার পুলিশ।
অন্য দিকে, মাঝরাতে বিধ্বংসী আগুন লাগে তিলজলা রোডে চামড়ার কারখানায়। কারখানা থেকে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে দমকলে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকলের তিনটি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
শনিবার রাতে আগুন লাগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর একটি দোকানেও। দেবগড় নেড়াপুকুর বটতলা এলাকার ওই অগ্নিকাণ্ডে লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা। দমকলের দু'টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ক্ষেত্রেও আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।