Baguiati Double Murder: বাগুইআটিকাণ্ডের জের, অপসারিত বিধাননগরের সিপি সুপ্রতিম সরকার
বাগুইআটির অপহরণের পর ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুন। আর এই ঘটনার পরে কড়া পদক্ষেপ। অপসারিত বিধাননগরের সিপি সুপ্রতিম সরকার।
কলকাতা: বাগুইআটিকাণ্ডের (Baguiati Double Murder Case) জেরে অপসারিত বিধাননগরের সিপি সুপ্রতিম সরকার। বাগুইআটির অপহরণের পর ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য। অপহরণের পরে খুন, ২ জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট পুলিশ। দেহ উদ্ধারের বার্তা পেয়েও কেন নিষ্ক্রিয় ছিল বিধাননগরের পুলিশ? এনিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের সমন্বয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের পরেই সাসপেন্ড হন আইসি, এসআই। ৭ সেপ্টেম্বর সাসপেন্ড হন বাগুইআটি থানার আইসি ও সাব ইন্সপেক্টর। আর এবার ১ সপ্তাহের মধ্যেই অপসারিত সিপি, যদিও 'রুটিন বদলি', দাবি নবান্ন সূত্রে।
বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার হলেন শিলিগুড়ির সিপি গৌরব শর্মা। এডিজি ট্রাফিক করা হচ্ছে সুপ্রতিম সরকারকে। শিলিগুড়ির সিপি হচ্ছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী। ৯ সেপ্টেম্বর হাওড়া স্টেশন থেকে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। উল্লেখ্য, ২৫ অগাস্ট হাড়োয়ায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপরে সেই দেহ উদ্ধারের কথা জানিয়ে থানায় থানায় বার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে, ২৩ অগাস্ট ন্যাজাটে অতনুর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় অতনুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হলেও কেন চুপ করে ছিল বসিরহাট থানা? কেন সেই কথা জানাল না বসিরহাট থানা? উঠছে সেই প্রশ্ন। পাশাপাশি অভিষেকের দেহ উদ্ধার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাড়োয়ায় ইট বাঁধা অবস্থায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে দেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে দেখা যায় প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সেই প্যান্টে ইঁট বেঁধে রাখা হয়েছিল। যাতে জলের তলায় যাতে ডুবে থাকে দেহ।এভাবে দেহ দেখেও কেন খুন বলে সন্দেহ হয়নি পুলিশের, প্রশ্ন ওঠে। এরপরেই বাগুইআটিকাণ্ডে আইসি কল্লোল ঘোষ ও তদন্তকারী অফিসার এসআই প্রীতম সিংকে সাসপেন্ড করার পর বাগুইআটি থানার নতুন আইসি করা হয় শান্তনু সরকারকে।
আরও পড়ুন, 'শুধু তৃণমূল নাকি ? বাম জমানার লোক সরকারি চাকরি করছে না ?', কল্যাণ ইস্যুতে বিস্ফোরক কুণাল
প্রসঙ্গত, বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পরেও অধরা ছিল মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। জানা গিয়েছিল, পরপর মেসেজ করেছে, তা সত্ত্বেও লোকেশন ট্র্যাক করা যায়নি। কারণ বারাবার সিম বদল করায়, লোকেশন ধরা যাচ্ছিল না বলেই দাবি করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্তে নামে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা। সঙ্গে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসাররা। নেতৃত্বে আইজি পদমর্যাদার অফিসার। অবশেষে মেলে বড় সাফল্য।হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে। বিধাননগর কমিশনারেটের হাতে ধরা পড়ে সে। সূত্রের খবর, ট্রেন ধরে ভিনরাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা ছিল সত্যেন্দ্রর । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছয় পুলিশের স্পেশাল টিম। স্টেশনে পা দেওয়ামাত্র সত্যেন্দ্রকে পাকড়াও করে পুলিশ।