Kolkata News:DA ধর্নামঞ্চে অসুস্থ আরও ১ অনশনকারী, নেওয়া হল হাসপাতালে
Sick DA Protesters: ডিএ ধর্নামঞ্চে সমরেন্দ্রনাথ রায় নামে এক অনশনকারী ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।
কলকাতা: ডিএ ধর্নামঞ্চে (DA Protest) অসুস্থ আরও এক অনশনকারী। শহিদ মিনারে ধর্না-অবস্থানের আজ ৫১ দিন। ৩৭ দিনে পড়েছে অনশন-আন্দোলন। এদিন সমরেন্দ্রনাথ রায় নামে এক অনশনকারী ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে (Hospital)।
রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে গণ অনশন কর্মসূচি
মূলত বকেয়া DA-র দাবিতে আজ থেকে ডিজিটাল নন-কোঅপারেশনের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে আজ শহিদ মিনার চত্বরে ধর্নামঞ্চে দিনভর অনশনে বসেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। সকাল ১০টা থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে গণ অনশন কর্মসূচি।
নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজ করবেন না কর্মীরা
আজ থেকে ডিজিটাল অসহযোগিতার ডাক দিয়ে আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না। ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করা হবে না। কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিসিয়াল মেল মারফত জানাতে হবে এবং সরকারি অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজ করবেন না কর্মীরা। এর আগে বকেয়া DA-র দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা ২ দিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, '১২ পেতে পারেন না ভাই', SSC-কেই চ্যালেঞ্জ রাজ্যের মন্ত্রীর
' কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন?'
এদিকে, আপাতত আর DA বাড়ানো যাবে না বলে, ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকেয়া ডিএ দেওয়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ' কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না। সিপিএম এর আমলে সব DA বকেয়া ছিল। ৩৪ বছরে, সিপিএম মাত্র ৩৩ শতাংশ DA দিয়েছে। আমরা ৯৯ শতাংশ প্লাস ৬ শতাংশ DA দিচ্ছি। কত হল। ১০৫ শতাংশ DA দিচ্ছি। 'এরই মধ্যে DA-এর আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। তিনি বলেন, ভোটের কাজ করতে এসে ওঁরা ডিসটার্ব করবে। ওদের ডিসটার্বগিরি ছাড়িয়ে দিতে হবে। এসব সত্ত্বেও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীদের একাংশ।