Dilip Ghosh: ‘মেধা নয়, প্রভাব খাটিয়ে ২ তৃণমূল নেতার কন্যার মেডিক্যালে ভর্তি'-র অভিযোগ ! দিলীপের নিশানায় কে ?
Medical Entrance Controversy: মেধা নয়, প্রভাব খাটিয়ে ২ তৃণমূল নেতার কন্যার মেডিক্যালে ভর্তির অভিযোগ। প্রভাব খাটিয়ে মেডিক্যালে ভর্তি করানোর অভিযোগ দিলীপের।
কলকাতা: ‘মেধা নয়, প্রভাব খাটিয়ে ২ তৃণমূল নেতার (TMC Leader) কন্যার মেডিক্যালে (Medical) ভর্তির অভিযোগ। দিলীপের (Dilip Ghosh) নিশানায় গৌতম দেব-সুদীপ্ত রায়। শিলিগুড়ি পুরসভার (Siliguri Municipality) মেয়র গৌতম দেবের (Goutam Deb)বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ। শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধেও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ। প্রভাব খাটিয়ে মেয়েদের মেডিক্যালে ভর্তি করানোর অভিযোগ দিলীপের। মেধার ভিত্তিতেই ডাক্তারিতে ভর্তি, অভিযোগ উড়িয়ে দাবি গৌতম দেব, সুদীপ্ত রায়ের।
তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। নাম জড়িয়েছে বিরোধী দলেরও। SSC-র ধাঁচে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি (Illegal) নিয়োগের অভিযোগে বিজেপির দুই সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। সিআইডিকে নথি হস্তান্তর করে কল্যাণী থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের। তাঁদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সুপারিশে কল্যাণী এইমসে চাকরি পেয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে। প্রতিবাদে বিধায়কের দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি চাই বলে স্লোগান তোলেন তাঁরা। এপ্রসঙ্গে আইএনটিটিইউসি-র বাঁকুড়া শহর সভাপতি শ্যামসুন্দর দত্ত বলেন, 'সাধারণ মানুষ কাজ চাইছে। এমএলএ-এমপি কী কাজ দিয়েছেন আমাদের? ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন এঁরা। এঁরা শ্রমিক বিরোধী আইন আনছে। যোগ্যতা ছাড়া নিজের ঘরের মেয়েকে কাজ দেয় কী করে! '
আরও পড়ুন, নকলের বদলে আসল সোনার গয়না চুরি ! গ্রাহক সেজে পার পেল না 'চক্র'-র ১ মহিলা
যদিও এনিয়ে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, এটা কোনও সরকারি চাকরি নয়। এটা কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি চাকরি নয়। রাজ্য সরকারের চাকরিও নয়। আর এরকম চাকরি যদি আমাদের সৌভাগ্য হয় তৃণমূলের যাঁরা আজ বিক্ষোভ দেখাল তাঁদের ঘরে ঘরে চাকরি দেব আমি। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-দাদাদের অঙ্গুলিহেলনে বাঁকুড়া মেডিক্যালে যেমন ঘরে ঘরে চাকরি পাচ্ছেন, সেখানে বিজেপির একটা ছেলেও নেই। বিজেপি করার জন্য তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। আর সেই ঠিকাদারি সংস্থার তৃণমূলের ছেলেরা শয়ে শয়ে চাকরি পাচ্ছেন। তাঁদের যোগ্যতা বলে হয়তো পাচ্ছে।