'ডিসেম্বর' পার, ফের শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি পেতেই 'পাগলের চিকিৎসার' পরামর্শ কুণালের !
Kunal Attacks Suvendu on Central Agency: 'সিবিআই,ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনী যেনও ওর অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের এক একটা শাখা', শুভেন্দুকে একহাত নিলেন কুণাল, কী বললেন তৃণমূল নেতা ?
কলকাতা: ভগবানপুরের সভা থেকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারির পর প্রতিক্রিয়া দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, প্রত্যেক মাসে একবার করে হুঁশিয়ারি দেয়। তাতে কী এসে গেল। সিবিআই,ইডি, কেন্দ্রীয়বাহিনী... এগুলি নিয়ে এমন ভাব করে..যেনও ওর অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের এক একটা শাখা।'
কুণাল ঘোষ বলেন,' এরপর ডিসেম্বরের তারিখ বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া নিয়ে বলেন, কোথায় গেল, ওর দলের লোকই তো সমর্থন করে না। সব থেকে বড় কথা যদি আদৌ সেন্ট্রাল এজেন্সি কোনও পদক্ষেপ নেয় কারও বিরুদ্ধে, তাহলে এটা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে না বিজেপি এটা করাচ্ছে। বিজেপি আগে বলছে, আমরা এই করাবো...তুলবো। বাড়ি পাঠাবো। তারপর যদি সেন্ট্রাল এজেন্সি কারও বিরুদ্ধে কোনও স্টেপ নেয়, তাতে তো এটা প্রমাণিত হয়ে যাবে, বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য বিজেপির নির্দেশে হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী আর এই তারিখ পলিটিক্স.. এটা পুরোদস্তুর পাগলামির লক্ষণ। অবিলম্বে এর যদি চিকিৎসা না করার হয়, তাহলে এর সিমটম বাড়বে।সমাজে ঘোরাফেরা করা ঠিক নয়।'
প্রসঙ্গত, গতবছর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'ডিসেম্বরের ১২, ১৪, ২১... তিনটে দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্য়ান্ড ওয়াচ।' এদিকে এই হুঁশিয়ারির পর স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য-রাজনীতিতে প্রশ্নের ঝড় ওঠে। কী হতে চলেছে ওই তারিখগুলিতে ? পরে দেখা যায়, শুভেন্দুর দেওয়া ডেডলাইনের প্রথম দিন অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে বগটুই হত্য়াকাণ্ডের অন্য়তম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্য়ুমৃত্য়ু হয়। যার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-র ভূমিকা। এরপর ডেডলাইনের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্য়ু হয়।
আরও পড়ুন, 'দুর্নীতি, ক্ষোভ ঢাকতে আইওয়াশ', বললেন শুভেন্দু অধিকারী
এরপর ঠিক পরেই কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, 'সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যমৃত্যু হল। ১৪ তারিখ দেখলাম কম্বল দিতে গিয়ে নিরীহ লোকেদের মেরে ফেলল। রাজনীতিতে তো নাকি ডিসেম্বরে সরকার পড়ে যাবে। ফুটো কলসি বাজে বেশি। সবাই সাবধানে থাকবেন। এই বিজেপি নেতাদের কাছাকাছি কেউ যাবেন না। এরা খুবই বিপজ্জনক। তারিখ দিয়ে দিয়ে একটা করে মৃত্যু ডেকে আনছে। ফলে সবাই কাল বিজেপির থেকে একটু দূরে থাকবেন। বিজেপি বা বিজেপির যা শাখা সংগঠন আছে তাদের থেকে সাবধানে থাকবেন।'